ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা : দশদিনের ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কর্মী চোডুপ লেপচা। আর শুক্রবারই রাস্তায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে, তিনি আত্মঘাতী হলেন। কিন্তু, এর কারণ কী ? অবসাদেই (Stress) কি এরকম মারাত্মক কাণ্ড ঘটালেন তিনি ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মাত্র একদিন আগে ছুটি থেকে ফিরে, কাজে যোগ দিয়েছিলেন। একদিন পরই রাস্তায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে দু’জনকে আহত করে একজনকে মেরে আত্মঘাতী হলেন মাত্র বছরখানেক আগে কাজে যোগ দেওয়া, কলকাতা পুলিশের কর্মী চোডুপ লেপচা।
কিন্তু, এরকম হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কারণ কী ? সেটা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান,
কিছুদিন আগে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। কম্প্যাশনেট গ্রাউন্ডে চাকরি পেয়েছিলেন। ছুটিতে ছিলেন। সদ্য জয়েন করেন।
নিহত এই পুলিশকর্মীর নাম চোডুপ লেপচা। কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর কনস্টেবল। বাড়ি কালিম্পিংয়ে। ১ বছর আগে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। চোডুপের বাবাও কলকাতা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর চাকরি পান তিনি। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১০ দিন ছুটিতে ছিলেন চোডুপ। বৃহস্পতিবারই ডিউটিতে যোগ দেন। শুক্রবার তাঁর বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে তাঁর ডিউটি ছিল। দুপুরে চা খাবেন বলে রাস্তায় বেরোন ওই পুলিশকর্মী।
শুক্রবার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে, বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের পাশের বাড়িতে, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। কিছুক্ষণ পর আবার সেই সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসেন তিনি। এরপর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায় কনস্টেবল চোডুপ লেপচাকে। কাঁধে ছিল এই স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। আচমকাই কাঁধের রাইফেল হাতে নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করেন তিনি। যাতে একজনের মৃত্যু হয়। দু’জন আহত হন।
কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, ওই পুলিশকর্মী অবসাদে ভুগছিলেন কিনা দেখা হচ্ছে। তবে, নিহত কনস্টেবলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললে, তাঁর এই আচরণের কারণ কিছুটা স্পষ্ট হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।