অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: গ্র্যান্ড হোটেলের (Grant Hotel) সামনের ফুটপাথে হকার নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া শুরু হল। আজ টাউন ভেন্ডিং কমিটি, পুলিশ ও কলকাতা পুরসভার (KMC) কর্মীরা গিয়ে ১১৬টি দোকানের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়। কিন্তু, ২৩টি দোকানকে সরানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে বেধে যায় বিশৃঙ্খলা।  


আদালতের নির্দেশে, গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে হকার নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু, তা করতে গিয়েই বৃহস্পতিবার বাধল বিশৃঙ্খলা! একটি মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট, (Calcutta High ourt) গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে হকার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয়।


সেই মতো কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality Corporation) ও টাউন ভেন্ডিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, গ্র্যান্ড হোটেলের সামনের ফুটপাথের এক-তৃতীয়াংশে হকার বসবে। তবে ফুটপাথের ২ দিকে নয়, হকার বসবে একদিকেই এবং ২৩টি দোকানকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে।                                                                                                                                


এদিন কলকাতা পুরসভা, টাউন ভেন্ডিং কমিটি এবং পুলিশ গিয়ে, গ্র্যান্ড হোটেলের সামনের  ফুটপাথে ১১৬টি দোকানের জায়গা চিহ্নিত করে দেয়। তবে, গ্র্যান্ডের নীচের স্থায়ী দোকানগুলির সামনে, ফুটপাথ ঘিরে যে ২৩টি দোকান রয়েছে, তাদেরকে পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। আর তা নিয়েই শুরু হয় গোলমাল। 


তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলেরই হকার ইউনিয়নের নেতা! গ্র্যান্ড হোটেলের সামনের ফুটপাথে হকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তৃণমূলের হকার ইউনিয়নের নেতা এবং টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্যের মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসার পরে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা বেধেছে। 


গ্র্যান্ড হোটেলের সামনের ফুটপাথ ঘিরে হকারদের রমরমা দীর্ঘদিনের। গ্র্যান্ডের নীচের স্থায়ী দোকানগুলির সামনের অংশও ঘিরে রয়েছে অনেক দোকান। সংকীর্ণ ফুটপাথে সাধারণ মানুষের চলাফেরাতেও সমস্যা হয়। আদালতের নির্দেশের পরে গ্র্যান্ড হোটেলের সামনের এই ছবিটা কতটা বদলায়, কীভাবে অসন্তোষ থামিয়ে, কলকাতা পুরসভা হকার নিয়ন্ত্রণ করে, এই সবই এখন দেখার বিষয়।