সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কলকাতায় (Kolkata Fire)। সাতসকালে কুদঘাটের এক প্রযোজনা সংস্থার গুদামে দাউদাউ করে জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে প্রথমে দমকলের ৪ টি ইঞ্জিন পৌঁছয়, পরে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকায় পৌঁছয় মোট ১৫ টি ইঞ্জিন (Fire Engine)। ভয়াবহ আগুনের জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।


পাশাপাশি সবথেকে বেশি শঙ্কার জায়গা অন্য জায়গায়, গুদামে কেউ আটকে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেটাও। ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। ঘিঞ্জি এলাকায় বড় গুদামে আগুন লাগায় আতঙ্কে স্থানীয়রা। যদিও গুদামটি ঘেরা জায়গায় হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। তাঁদের অভিযোগ, ভোরবেলা আগুন লাগলেও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে অনেকটা দেরি করেছে দমকল।


আগুনের তাপে ভাঙে পাঁচিল


সাতসকালেই ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান স্থানীয়রা। আগুন দ্রুত গোটা গুদামে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। আগুনের তাপে ভেঙে পড়ে প্রযোজনা সংস্থা এসকে মুভিজের গুদামের লোহার শেড তথা পাঁচিল। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায়, দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভেঙে পড়ে পাঁচিল ও লোহার ছাউনি। ফিল্মের রিল, ক্যান সহ একাধিক জিনিস পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে। এখনও আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সকালেই ঘটনাস্থলে যান অরূপ বিশ্বাস। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও স্বস্তির খবর, গুদামের মধ্যে কেউ আটকে নেই।



 


আতঙ্কে স্থানীয়রা


গোটা আকাশজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখে ঘুম ভাঙে বলেই জানান স্থানীয়রা। ভোর পাঁচটা নাগাদ আগুন লাগার পর থেকেই তাঁরা ক্রমাগত দমকলে ফোন করতে থাকলেও বেশ অনেকক্ষণ পরে সেখানে আগুন নেভানোর জন্য ইঞ্জিন এসে হাজির হয় বলেই অভিযোগ স্থানীয়রা। ঠিক কী কারণে আগুন লাগল সে নিয়ে যেমন ধোঁয়াশা রয়েছে, তেমনই এত বড় গুদামের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় প্রতিরোধী মানের ছিল না কি না, সে নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।


ক্যানিংয়েও আগুন


ক্যানিংয়ের মাতলা ব্রিজের কাছে ভয়াবহ আগুন। ভস্মীভূত ১০-১২টি দোকান। কয়েকলক্ষ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা। গতকাল গভীর রাতে মাতলা ব্রিজের কাছে একটি দোকান থেকে পরপর কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ২টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।


আরও পড়ুন- মোমিনপুরের ঘটনার তদন্তে কি NIA? কেন্দ্রের কাঁধে দাায়িত্ব কলকাতা হাইকোর্টের