জয়ন্ত পাল, কলকাতা: ফের অমানবিকতার সাক্ষী থাকল কলকাতা (Kolkata)। পথের ধারেই চিকিৎসা করা হল ভবঘুরের। ফুটপাথ থেকে পড়ে মাথায় সংক্রমণ হয় ওই রোগীর। সরকারি  হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে গরমের মধ্যেই দমদম আন্ডারপাসের (Dumdum Underpass) নিচেই চলছে চিকিৎসা। 


ঠিক কী ঘটেছিল?


দমদম আন্ডারপাসের নিচে থাকতেন এক ভবঘুরে বৃদ্ধা ভবানী ভট্টাচার্য। বয়স ষাট বছর। হঠাৎ একদিন ফুটপাত থেকে রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় চোট লাগে তাঁর। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানোর কারণে মাথায় ইনফেকশন হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই পচন ধরেছে বৃদ্ধার মাথায়। অভিযোগ অসহায় ভবঘুরে বৃদ্ধাকে চিকিৎসা না করেই ফিরিয়ে দেয় আর জি কর হাসপাতাল। 


হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ


হঠাৎ করেই বৃদ্ধার এমন অবস্থা নজরে আসে বরানগরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। এরপরে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে গত ১৪ তারিখে বৃদ্ধাকে আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগ, কোনও রকম চিকিৎসা না করিয়েই তারা ফিরিয়ে দেয় বৃদ্ধাকে।


এরপরে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আবারও বৃদ্ধাকে নিয়ে চলে আসে দমদম আন্ডারপাসের নিচে। প্রচণ্ড হাঁসফাঁস গরমের মধ্যেই সেখানে রেখে চিকিৎসা করাতে শুরু করে তারা প্রাইভেট ডাক্তার দেখিয়ে।


আরও পড়ুন: West Bengal BJP : ‘রাজ্য বিজেপির রোগ হয়েছে, চাই দিল্লির দাওয়াই’ এবার মুখ খুললেন অনুপম-সৌমিত্র


প্রশ্ন উঠছে অসহায় ভবঘুরে বৃদ্ধার পাশে প্রথমেই যদি কেউ দাঁড়াত তাহলে হয়তো এই ঘটনা ঘটত না। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আরও দাবি আর জি কর একটি সরকারি হাসপাতাল, সেখানে বৃদ্ধাকে নিয়ে গেলেও চিকিৎসা হল না।


অন্যদিকে তারা নিজেরা কতদিন প্রাইভেটে চিকিৎসা করাতে পারবে তাও বুঝে উঠতে পারছে না। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আরও দাবি কোনও একটি সরকারি হাসপাতালে বৃদ্ধাকে ভর্তি নেওয়া হোক, তাহলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দমদম পৌরসভার চেয়ারপার্সন কস্তুরী চৌধুরী জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধার পাশে থাকবেন তাঁরা এবং দক্ষিণ দমদম পৌরসভার হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।