অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও অনির্বাণ বিশ্বাস, সঞ্চয়ন মিত্র: চিপস খেয়ে কেউ রাস্তাতেই ফেলে গেছে খালি প্যাকেট (Plastic Packet)। আবর্জনা ভর্তি প্লাস্টিকের প্যাকেটটি কেউ ছুঁড়ে দিয়েছে নর্দমায়। এই যে প্রতিদিন শহরের বুকে জমা হচ্ছে এত এত প্লাস্টিক। তারই মাসুল দিতে হচ্ছে এখন। প্লাস্টিক আটকে যাচ্ছে নর্দমা, নিকাশি নালায়, আর তাতেই বেরতে পারছে না বৃষ্টির জল, রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে, দুর্ভোগ বাড়ছে কলকাতাবাসীর।
কী অবস্থা?
শুধু যে নালা-নর্দমায় প্লাস্টিক জমে বিপদ বাড়ছে, তাই-ই নয়। প্লাস্টিক আটকে, খারাপ হয়ে যাচ্ছে পুরসভার পাম্প। কলকাতা পুরসভার কাছে এটা একটা বড় সমস্যা। বালিগঞ্জ ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনে তাই, বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে বাছা হচ্ছে প্লাস্টিক। পাম্পে প্লাস্টিক জড়িয়ে পাম্প বসে যায়। স্ক্রিনিং মেশিন আছে। তা দিয়ে প্লাস্টিক তোলা হয়।
কী জানালেন মেয়র?
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "দেখছি বৃষ্টির পরিমান বেশি। সবকটা পাম্পিং স্টেশন অ্যালার্ট রয়েছে। সব ডিপার্টমেন্ট অ্যালার্ট আছে। কলকাতায় বৃষ্টি হলে, তত্পরতার সঙ্গে জল সরানোর ব্যবস্থা রয়েছে। খুব জল জমলেও, ৪-৫ ঘণ্টার বেশি থাকবে না।"
আরও পড়ুন, আর কিন্তু বেশি দূরে নেই অশনি, কীভাবে কোন পথে এগোচ্ছে ঝড়
সোমবার সকাল থেকেই পাম্পিং স্টেশনগুলির ওপর কড়া নজর রেখেছে পুরসভা। বোট ক্যানেল পরিষ্কার করছে সেচ দফতর। যাতে, শহরে জমা বৃষ্টির জল দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারে। বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন থেকে এখানে জল এসে পড়ে। তা দ্রুত বেরিয়ে যয়। বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন থেকে জল এসে পড়ে তিলজলার এই খালে। সেখানে সেচ দফতরের তরফে দ্রুত খাল পরিষ্কারের কাজ চলছে। খাল থেকে চলছে পলি তোলার কাজ। যাতে, খালের গভীরতা বাড়ে, দ্রুত জল বেরিয়ে যেতে পারে।
বালিগঞ্জ ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের জল এখানে এসে পড়ে। সেই জল যাতে না জমে থাকে, তাই সেচ দফতর দ্রুত করছে। ঘূর্ণিঝড় অশনি সতর্কতায়, মঙ্গল থেকে বৃহস্পতি, কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, আলো বিভাগ, নিকাশি বিভাগ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।