সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে অবশেষে জয়। হাতে জয়ের শংসাপত্র পেতে চলেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat) কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী। পঞ্চায়েত ভোট বহুদিন আগেই মিটেছে। কিন্তু তা নিয়ে নানা আইনি লড়াই চলছে আদালতে (High Court)। এটি তেমনই একটি ঘটনা ছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, বেআইনিভাবে পুনর্গণনা করিয়ে, তাদের প্রার্থীর হার দেখিয়ে জয়ী ঘোষণা করা হয় তৃণমূল প্রার্থী রাজেশ মণ্ডলকে। বিচার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। সেই মামলাতেই আজ কংগ্রেস প্রার্থীকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। 


পুরুলিয়ার ঝালদার মারুমসিনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী তীজেন্দ্রনাথ মাহাতো। তাঁরই অভিযোগ ছিল, জোর করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার গ্রাম সংসদের ১১ নম্বর আসনে জয়ী ঘোষণা করে সেই তীজেন্দ্রনাথের হাতেই জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।                                             


এই ঝালদাতেই পুরসভায় পুরবোর্ড গঠনে ডামাডোল চলেছে। পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদারই (Jhalda) মারুমসিনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থীকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে টানাপড়েন ছিল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝালদার মারুমসিনা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬ ভোটে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী।  কংগ্রেস অভিযোগ করে, বেআইনিভাবে পুনর্গণনা করিয়ে, তাদের প্রার্থীর হার দেখিয়ে জয়ী ঘোষণা করা হয় তৃণমূল প্রার্থী রাজেশ মণ্ডলকে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। দলের প্রার্থীর হয়ে এই মামলা লড়েছেন কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। তিনি বলেন,'পুরুলিয়া জেলার মারুমসিনা পঞ্চায়েত সমিতির ১১ নম্বর আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী তীজেন্দ্রনাথ মাহাতো কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ওনার বক্তব্য ছিল, তৃণমূলের যিনি প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন, রাজেশ মণ্ডল, তাঁকে জোর করে জেতানো হয়েছে। আইনকানুন না মেনে উনি ৬ ভোটে প্রথমবার জেতার পরেও বিডিও ও অন্য়ান্য আধিকারিকরা যোগসাজশ করে রিকাউন্টিং করে জোর করে হারিয়ে দেন। দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলে। কোর্টের আদেশ অনুযায়ী তীজেন্দ্রনাথ জয়ী। বিডিওয়ে সার্টিফিকেট ইস্যুর নির্দেশ।'                     


আরও পড়ুন: এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ এবং লোকাল বাড়ানোর দাবিতে বাতাসপুরে রেল অবরোধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা