কলকাতা: রাজ্যের বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার বিষয়ে নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝাড়ল DVC। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এম রঘুরামের দাবি করেন, কোন জলাধার থেকে কত জল ছাড়া হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেশন কমিটি বা DVRRC।


জল ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন কারা ? 


এই কমিটিতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, ঝাড়খণ্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, DVC-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল), CWC-র মেম্বার সেক্রেটারি এবং CWC-র চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি। কমিটির সদস্যরা মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেন কতটা জল আসছে, কতটা জল ছাড়তে হবে। DVRRC-কে নিয়ন্ত্রণ করে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন বা CWC। পশ্চিমবঙ্গে মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার-সহ DVC-র মোট চারটে বাঁধ রয়েছে। এক্ষেত্রে DVC শুধুমাত্র অপারেটরের ভূমিকা পালন করে বলে দাবি সংস্থার চেয়ারম্যানের।


ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে গিয়েছিল


প্রসঙ্গত,  এর আগে ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে গিয়েছিল। রাতারাতি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল বাংলার একাংশ। যা ঘিরে বড়সড় বিতর্ক আকার নেয়। একদল বলে, এমন কোনও খবর না থাকায় প্রস্তুতিটুকুও নেওয়া সময় পায়নি রাজ্য। অপরদিকে, বলা হয় অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। যদিও এই বিতর্কে যবনিকা খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী সেবার টেনেছিলেন। দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন টুইটে। তবে সেখানেই তা থেমে থাকেনি। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বন্যার জন্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, 'ম্যান মেড' বন্যার আখ্যা দিয়েছিলেন। এবং পুজোর আগেও রাজ্যের একাধিক জেলা ফের অসুবিধার মুখোমুখি হয়। মূলত প্রতিবারই জল ছাড়লে সবচেয়ে বেশি অসুবিধার মুখে পড়ে, হাওড়া,হুগলি, বর্ধমান, মেদিনীপুর।


আরও পড়ুন, কলকাতায় পেট্রোল ও ডিজেলের দর কী ? সপ্তাহান্তে জ্বালানি সস্তা কোন শহরে ?


'ডিভিসি জল ছাড়লেই বন্যা হয়'


'ডিভিসি জল ছাড়লেই বন্যা হয়', বর্ধমানের সভা থেকে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য, এর আগে গতবছরগুলিতে একনাগাড়ে বৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্যা হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। তবে ডিভিসি-র (DVC) জল ছাড়া নিয়ে 'ম্যান মেড বন্যা'র (Man Made Flood) আখ্যা আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। রাজ্য-কেন্দ্রর সেই তরজা এবার ফের উসকে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে।  যদিও তিনি উল্লেখ করেছিলেন কোন কোন জেলাতে জল প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। বন্যা রুখতে ২ হাজার ৭৬৮ কোটির টাকার প্রকল্পের প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল।