কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যালের (Kolkata Medical College and Hospital) অভিযোগকারী দুই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে সরব নির্মল মাজি (Nirmal Maji)। নজিরবিহীণভাবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা। যদিও কোনও মন্তব্য করেননি তাঁরা। বৈঠকে ছিলেন না ২ চিকিত্সক। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁদের দাবি, বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য কোন লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়নি। 


মে মাসের শুরুতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Kolkata Medical College and Hospital) কার্ডিওলজি (Cardialogy) বিভাগের প্রধান ভবানী চট্টোপাধ্যায়কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বুধবার উঠেছে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ৬৪ বছরের চিকিত্‍সককে হুমকি দেওয়া ও কুকথা বলার অভিযোগ। 


সূত্রের খবর, শনিবার দুই ঘটনাই উঠে আসে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে। দুই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগে সরব হন নির্মল মাজি (Nirmal Maji)। নজিরবিহীণভাবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। যদিও বৈঠক থেকে বেরিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা বা স্বাস্থ্য অধিকর্তা।


সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার চিকিত্‍সক কুণাল পান মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও স্বাস্থ্যভবনে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, নির্মল মাজির পাঠানো এক রোগীকে ভর্তি করার জন্য নথি তৈরিতে কিছুটা সময় লাগে। তার জন্য জরুরি বিভাগে ঢুকে, নির্মল বলেন- কেন তিনি তাঁর দিকে ‘ছাগলের মতো তাকিয়ে আছেন?’ সিনিয়র অফিসার অন ডিউটি’কে ‘গাধার বাচ্চা’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। 


অন্যদিকে, চলতি মাসের শুরুর দিকে সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম অভিযোগ করে, মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া স্টেন্ট ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছেন নির্মল মাজি। প্রতিবাদ করায় বদলির হুমকি দেওয়া হয় কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ভবানী চট্টোপাধ্যায়কে। ফোরামের দাবি, যার জেরে পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা এবং মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকের কাছে আবেদন জানান, অবসরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন ওই চিকিত্সক। 

সূত্রের খবর, শনিবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে দু’টি ঘটনার কথা তোলেন নির্মল মাজি। দুই চিকিত্সকই কাজ করছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বৈঠক শেষে, সব অভিযোগ অস্বীকার করে, ফের দুই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে সরব হন নির্মল। 


নির্মল মাজি জানান, ২ চিকিত্সককে ডাকা হয়েছিল আসেননি। আমি কোনও এমন কথা বলিনি। সূত্রের খবর, অভিযোগকারী দুই চিকিত্সক ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, শনিবারের বৈঠকে আসার জন্য কোনও লিখিত নির্দেশ তাঁদেরকে দেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তার পাশাপাশি, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠক শেষে তিনিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মন্তব্য করতে চাননি হাসপাতালের অধ্যক্ষও।