কলকাতাঃ কল্যাণী এইমসে নিয়োগে ‘দুর্নীতি’ (AIIMS Recruitment Corruption)-র জেরে, বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখরকে এবার ভবানীভবনে তলব। শুক্রবার বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানাকে সিআইডি তলব। মেয়েকে ২ দফায় সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি মেলার অভিযোগ। মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিজেপি বিধায়ককে ভবানীভবনে তলব। ‘কল্যাণী এইমসে কখনও যাননি বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক’। জিজ্ঞাসাবাদে এমনই দাবি করেছিলেন বিধায়ক-কন্যা, দাবি সিআইডির। কিন্তু সিআইডি-র দাবি, কল্যাণী এইমসে গিয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন নীলাদ্রি। কল্যাণী এইমসে গিয়ে মেয়ের চাকরির জন্য সুপারিশও করেন বিজেপি বিধায়ক। কল্যাণী এইমস থেকে নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। সুপারিশেই চাকরি, জানিয়েছে নিয়োগকারী সংস্থা।' 


প্রসঙ্গত, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলায় বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে নোটিস পাঠিয়েছিল সিআইডি। সেই মতোই নীলাদ্রিশেখরের বাড়িতে বাঁকুড়ার সদর থানার পুলিশকে নিয়ে পৌঁছয় সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসারেরা। দীর্ঘ দুই ঘন্টার এই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন। কী করে কম নম্বর  পেয়েও এই চাকরি হল মৈত্রেয়ীর ? চাকরির নিয়োগের সময় কী কী নথি জমা দিয়েছেন মৈত্রেয়ী, কীভাবে এই চাকরি হয়েছে, কত টাকা বেতন মিলছে, একের পর এক প্রশ্ন করেন সিআইডির আধিকারিকরা। মূলত কল্য়াণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগের জেরেই বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখরের বাড়িতে আসেন তদন্তকারী অফিসারেরা। যদিও  এই মামলায় ইতিমধ্যেই চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি-র অফিসারেরা। এদিকে এই তলবের পর রীতিমত হুমকিও দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, বলে অভিযোগ উঠে আসে। 


আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তিই শেষকথা', মন্ত্রিসভার রদবদল ঘোষণা ঘিরে কী বলছেন মুকুল-কুণালরা ?


নীলাদ্রি কন্য়াকে পূর্বের  তথ্যের উপর ভিত্তি করেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। এবং তাঁরা কল্যাণী এইমসে যান।মৈত্রী দানার থেকে জানতে চাওয়া হয় যে, ওনার চাকরির ক্ষেত্রে কোনওরকমভাবে কোনও সুপারিশ করা হয়েছিল কিনা ? কিংবা ওনার বাবা কল্যাণী এইমসে গিয়েছিলেন কিনা ?  নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে বলেছিলেন, বাবা কোনওদিন কল্যাণী এইমসে যাননি। তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যায়, বিজেপি বিধায়কের মেয়ে নম্বর পেয়েছিল ২০। শেষের দিকে নাম ছিল। এদিকে মৈত্রী দানা থেকে যারা অনেক বেশি নাম্বার পেয়েছেন, তাঁরা কিন্তু এই চাকরি পাননি। এটা কীভাবে সম্ভব হল, সেটার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।  এরপরেই সিআইডি সূত্রের দাবি, 'বাঁকুড়ায় বিজেপি বিধায়কের মেয়ে মৈত্রী দানার বক্তব্যের সঙ্গে তথ্য়ের কোনও মিল নেই।' নিয়োগে 'দুর্নীতি', এমনই বিস্ফোরক দাবি জানিয়েছে সিআইডি।