কলকাতা:  নবম-দশমে ১৮৩ ভুয়ো সুপারিশের তালিকা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ। কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ  বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly )। ‘এঁদের মধ্যে কতজন, কোন স্কুল কর্মরত তা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানতে চাইবে কমিশন’,  নির্দেশ বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের। '৩ দিনের মধ্যে কমিশনকে তথ্য জানাবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকরা', নির্দেশ বিচারপতির। 


‘অকল্পনীয় নির্দেশ দেব, এরা সরকারকে সমস্যায় ফেলছে'


বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন,  ‘১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পরবর্তী রিপোর্ট পেশ করবে এসএসসি। ৩ ডিসেম্বর কমিশন, মামলাকারী এবং সিবিআই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। বাজেয়াপ্ত হার্ডডিস্ক থেকে প্রাপ্ত ওএমআর শিটের নমুনা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে সিবিআই’। পাশাপাশি 'নির্ভয় হোন, ধেড়ে ইঁদুর বেরোবে', মন্তব্য বিচারপতির। ‘সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছেন না, জানিয়েছে সিবিআই। ওঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হোক, মুখ খুলতেই হবে, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।  ‘দুপুর ৩টের সময় এসে জানান সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছেন কি না,  সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে নির্দেশ বিচারপতির। ‘অকল্পনীয় নির্দেশ দেব, এরা সরকারকে সমস্যায় ফেলছে, কমিশনরে অফিসে ভুরিভুরি দুর্নীতি হয়েছে, বলে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।  


আরও পড়ুন, ‘মেধা নয়, প্রভাব খাটিয়ে ২ তৃণমূল নেতার কন্যার মেডিক্যালে ভর্তি'-র অভিযোগ ! দিলীপের নিশানায় কে ?


'রাজ্যের উচিত এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালতকে সাহায্য করা'


১৮৩ জনকে ভুয়ো সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে বলে আগে জানিয়েছিল কমিশন। এই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি করছেন? জানতে চান বিচারপতি। ‘রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে স্থগিতাদেশ জোগাড় করতে, এটা বিস্ময়কর। রাজ্যের উচিত এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালতকে সাহায্য করা।' মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ‘বেআইনি সুপারিশ খুঁজে পেলেও তা বাতিলের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কী কী বেআইনি কাজ খুঁজে পেয়েছে কমিশন?' প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।  অন্যদিকে, অতিরিক্ত শূন্যপদ-মামলায় কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের ওপর বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। ৩০ ডিসেম্বর বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, শহর এবং শহরতলিতে বহু স্কুল আছে যেখানে শিক্ষক আছেন কিন্তু ছাত্র নেই। এই শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠালে ভাল হয়, গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। 'হয় গ্রামের স্কুলে যান অথবা চাকরি ছাড়ুন। এ ব্যাপারে রাজ্যের উপযুক্ত নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন।' অতিরিক্ত শূন্যপদ-মামলায় মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ ডিসেম্বর।