কলকাতা: বাবুঘাটে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের (Dead body rescue) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪৫। বিসর্জন দেওয়া প্রতিমার (Durga Idol) কাঠামোয় পচাগলা দেহটি আটকে ছিল। কাঠামো সরাতে গিয়েই দেহটি নজরে পড়ে। দেহটি উদ্ধার করেছে পশ্চিম বন্দর থানা।  মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।  


গতবছরও বাবুঘাটে ঘটেছিল দুর্ঘটনা 


প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় একাধিক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় পশ্চিমবঙ্গ। হইহুল্লোরের মাঝে প্রতিবছরই মায়ের কোল ফাঁকা হয়। সেই তালিকায় থাকে বাবুঘাটও। গতবছর বিসর্জন চলাকালীন বাবুঘাটে গঙ্গা থেকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। একুশ সালেও বাবুঘাটে ২ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেহ দুটি উদ্ধার করেছিল রিভার ট্রাফিক পুলিশ। একের পর এক দুর্ঘটনার পর, এবছর সতর্ক ছিল কলকাতা-তথা রাজ্য পুলিশ। তবুও এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা। ফের উমা মায়ের বিদায়ের সঙ্গে এল মর্মান্তিক খবর। বাবুঘাটে ফের এবারও এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে রাতেই জলপাইগুড়িতে ঘটে গিয়েছে আরও একটি বড়সড় দুর্ঘটনা।


রাতেই জলপাইগুড়িতে ঘটে গিয়েছে আরও একটি বড়সড় দুর্ঘটনা


স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ১০ বছরের এক বালিকা রয়েছে। গতকাল মাঝরাত পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। তারপর প্রবল বৃষ্টির জেরে উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ হয়। আজ সকালে নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে গতকাল প্রতিমা বিসর্জনের সময় ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন ঘটনাস্থলে। সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে দড়ি ছাড়া কিছু ছিল না। বিপর্যয় যখন ঘটে, তখন যদি সিভিল ডিফেন্সের আরও কর্মী থাকতেন, তাহলে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা যেত বলে তাঁর দাবি।


আরও পড়ুন, মালবাজারের হড়পা বানকাণ্ডে 'উদ্ধার প্রক্রিয়া' নিয়ে কী অনুরোধ শুভেন্দুর ?


এই বিপর্যয় নিয়ে স্থানীয় সূত্রে একটা সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে, যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল থাকে। হড়পা বানের সময় তা হিতে বিপরীত হয়েছে।  যেখানে বিসর্জন হচ্ছিল, সেদিকেই প্রবল স্ত্রোত এসে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। কয়েকদিন আগেই এই নদীতে হড়পা বান হয়। তারপরও কেন বিসর্জনের সময় বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে।