কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগে ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণদের বয়সে ছাড়। চল্লিশ পেরোলেও বসা যাবে নিয়োগ পরীক্ষায় (Reqruitment Exam)। আদালতের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ২০১৭-র ১২ মে থেকে আজ পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে বয়সে ছাড়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদের (TET Pass Candidate) নিয়োগের জন্য আবেদনে ছাড়পত্র। আদালতের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। দু'টি ক্ষেত্রেই নতুন করে আবেদন নেওয়া হবে, জানাল পর্ষদ।


 গতমাসে টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট। ‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দুর্নীতি ও অসৎ আচরণের জন্য বিখ্যাত, কিছু আধিকারিক ও আমলার অপদার্থতায় আসল যোগ্যরা সুযোগ পান না’, ২০১৪-য় টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি মামলাকারী নেফাউর শেখকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ। এ দিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ, ‘৪ সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ নিয়ে প্রাপ্ত নম্বর দিতে হবে’। ইন্টারভিউয়ে যোগ্য হলে চাকরি দিতে হবে, নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৭-র টেট ( TET 2014 , TET 2017 ) অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২১ জন অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী ২০২২-এর প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। ওই চাকরিপ্রার্থীদের ফর্ম পূরণের অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন অনুমতি পেলেন তাঁরা  ? মামলাকারীদের দাবি, এই চাকরিপ্রার্থীরা দেড়শোর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। ফলে এঁদের গড় নম্বর ৫৪.৬৭ শতাংশ। নিয়ম অনুসারে ৫৪.৬৭-কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। ৫৫ নম্বর পেলেই এঁরা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মান্যতা পাবেন। মামলাকারীদের আরও দাবি, ২০১৪-র টেটে ৬টি ও ২০১৭-য় ৮টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন।


আরও পড়ুন, 'শাসকরা থিয়েটারকে সন্দেহের চোখে দেখে', এক্সক্লুসিভ 'সেরা বাঙালি' মেঘনাদ ভট্টাচার্য


 উল্লেখ্য, এনিয়ে জল গড়ায় অনেকদূর। সুপ্রিম কোর্টে মামলা, ওএমআর শিট সংক্রান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট। ওএমআর শিট সংক্রান্ত সিবিআইয়ের রিপোর্ট গ্রহণ করে না হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরামর্শ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। সিট সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্য।  সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলা, তাই রিপোর্ট গ্রহণ করল না হাইকোর্ট, এমনটাই খবর। অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতায় সম্প্রতি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আবেদনে বলা হয়, প্রতিবাদকে দুর্ভোগ বানানো যায় না। ট্রাফিকের সমস্যা তৈরি হতে দেওয়া যায় না।  প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।