কলকাতা: গাড়ির ধাক্কায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) ছাত্রের মৃত্যুর ( Student  Death Case)ঘটনায় ইতিমধ্যেই চরমে রাজনৈতিক চাপান উতোর। ঘাতক গাড়ির মালিক কে ? উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই বিক্ষোভে নেমেছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ।


শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মৃত্যু নিশ্চিতভাবে দুঃখজনক। এবং আসানসোলে যদি ভিড়ে কিছু হয়, তার জন্য বিজেপির নেতাদেরকে তলব করা হয়, গ্রেফতার করা হয়। আর সাংসদের গাড়ি মারলে তখন দেখা হয় না। এক্ষেত্রেও তাই। তোলামূল মানেই ছাড়.. একটু পরেই এসে যাবে একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি , যে বিষয়টা নিছক দুর্ঘটনাই ছিল।' তবে গাড়ির ধাক্কায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের  ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরে তাঁকে এই গাড়িটা দেওয়া হয়েছিল, গাড়িটিকে সার্ভিস সেন্টারে দিয়ে আসার জন্য। এদিকে ঘাতক গাড়িটিকে গাড়িটি পুলিশকর্মীরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা গাড়িটিকে আরও খতিয়ে দেখবেন। এই মুহূর্তে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয়েছে। 


 অপরদিকে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে এদিন আসানসোলের ঘটনা টেনে ধরে আনলেন শুভেন্দু। ঠিক কী হয়েছিল সেখানে ? আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়ির ঘটনায়  পদপিষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যু হয়। একাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছে বলেও খবর মেলে। মূলত আসানসোলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই পরে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান শুভেন্দু। তারপরেই এমন ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, এই অনুষ্ঠানের জন্য কোনও অনুমতি ছিল না, দাবি করেছেন পুলিশ কমিশনার। ৫টি ক্যাম্পে ৫ হাজার মানুষকে কম্বল বিতরণ করার পরিকল্পনা ছিল। একটি ক্যাম্পে ১ হাজার মানুষকে কম্বল নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা ছিল। শুভেন্দুর সভায় বিশৃঙ্খলা, পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় ওঠে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন, 'ডিসেম্বর' পার, ফের শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি পেতেই 'পাগলের চিকিৎসার' পরামর্শ কুণালের !


আসানসোলে এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। 'শুভেন্দুবাবু আপনার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দুধের শিশু-সহ তিন-তিনটি প্রাণ বলি নিল। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই আপনার দাদাগিরি দেখানোর ফল ভুগলেন কিছু অসহায় মানুষ। এই নিরীহ মানুষগুলো কি ক্ষতি করেছিল আপনার? ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসন অনুমতি দিয়ে থাকে। যে ১ শতাংশ ক্ষেত্রে তারা অনুমতি দিতে অপারগ হন, সেনিয়েও বারবার আদালতে ছুটে যান শুভেন্দুবাবুরা। দুঃখের বিষয়, আদালত তাতেও অনুমোদন দিয়ে দেয়। আজ বুঝতে পারছেন কেন ১ শতাংশ ক্ষেত্রে সভার অনুমতি দেওয়া হয়না।'