কলকাতা: ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী, আদালতে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন পার্থর (Partha Chatterjee)।  (CBI) সিবিআই-এর তোলা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া পার্থর। সামাজিকভাবে তাঁর চরিত্র হনন হচ্ছে, আদালতে অভিযোগ পার্থর। প্রতিদিন এক কথা শুনছি, শুনে শুনে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। আপনার কাছে বিচার চাই, বিচারকের কাছে আবেদন পার্থর। কোনওদিন কমিটির সঙ্গে কোনও বৈঠক হয়নি, আদালতে দাবি পার্থর আইনজীবীর। এসএসসি দুর্নীতিতে ধৃত সুবীরেশকে নতুন করে হেফাজতে চায় সিবিআই। গ্রুপ সি মামলায় হেফাজতে চায় সিবিআই। গ্রুপ সি মামলার সঙ্গে সুবীরেশের যোগসূত্র মিলেছে, দাবি সিবিআই-এর (CBI)।  


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র (Enforcement Directorate) চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য । 'বেসরকারি বিএড, ডিএলএড ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজকে এনওসি (NOC) দিতে টাকা নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলেজ প্রতি ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।' এমনই দাবি করেছে ইডি। ইডি চার্জশিটে আরও দাবি করেছে, 'প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) পেতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে। তাপস মণ্ডলই প্রাথমিকভাবে ফান্ড সংগ্রহ করতেন। পরে সেই ফান্ডের টাকা পাঠানো হত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। মানিকের মাধ্যমে সেই টাকা আবার পৌঁছে যেত উপরমহলে। অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের নামে মোট ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে।'


'মানিক ঘনিষ্ঠ সঞ্চিতা ভট্টাচার্য এবং হীরালাল ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমা পড়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য, ছেলে সৌভিকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে। শেষমেশ সব টাকা জমা পড়েছে শতরূপা ভট্টাচার্য ও মানিক ঘনিষ্ঠ পান্নালাল ভট্টাচার্যর অ্যাকাউন্টে। যাদবপুর, গড়িয়া ও নদিয়ার কালীগঞ্জে মানিক ভট্টাচার্যর ৬টি স্থাবর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।' চার্জশিটে এমনই উল্লেখ করেছে ইডি।আরও বলা হয়েছে, 'নিয়োগের ক্ষেত্রে পক্ষপাত ও স্বজনপোষণ লক্ষ্য করা গেছে। সন্দেহজনকভাবে তৈরি হয়েছিল অতিরিক্ত প্যানেল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা, লাভবান হয়েছেন অযোগ্যরা। শুধু সাদা খাতা জমা দিয়েই অনেকে চাকরি পেয়ে গেছেন', বলে দাবি ইডির।


আরও পড়ুন, 'এটা ওনার মস্তিষ্ক প্রসূত নয়', পার্থ মুখ খুলতেই দাবি শমীকের, কী প্রতিক্রিয়া কুণাল-সুজনের ?


গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় সম্প্রতি মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে ইডি। যে চার্জশিটে মানিক ভট্টাচার্যকে দুর্নীতির কিংপিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।  সূত্রের খবর, চার্জশিটে নাম রয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যেরও। পাশাপাশি খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে কীভাবে জড়িত ছিলেন মানিক? কীভাবে রেজিস্ট্রেশনের নামে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ থেকে টাকা নেওয়া হত? মানিক ভট্টাচার্যর ছেলে সৌভিকের সংস্থা কীভাবে লাভবান হয়েছে? এই সমস্তের উল্লেখ রয়েছে ১৫০ পাতার চার্জশিটে। প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেছিল CBI। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ‘কিংপিন’ আখ্যা দেয় ED।