হিন্দোল দে, কলকাতা: মোবাইল ফোনে আসক্তি। মা-বাবার বকুনিতে অভিমানে আত্মঘাতী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। দাবি পরিবারের। বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার ঘটনা। মায়ের দাবি, গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করত ১৭ বছরের ওই কিশোরী। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার বকাবকি করা হয়। বৃহস্পতিবার বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই ছাত্রীর। এরপরই গতকাল বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কিশোরী আত্মঘাতী হয় বলে পরিবারের দাবি।
২ দিন আগেই, কোচবিহারের (Coochbihar) গুঞ্জবাড়িতে একই পরিবারের ৩ জনের রহস্যমৃত্যু। ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হল কলেজ শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের দেহ। পুলিশ সূত্রে দাবি, মিলেছে ১২ পাতার সুইসাইড নোট (Suicide Note)। তাতে লেখা হয়েছে, কীভাবে স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে নিজেকে শেষ করেছেন তিনি। যদিও কী কারণে এই ঘটনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীত কুমার বলেন, "১২ পাতার সুইসাইড নোট মিলেছে। সুইসাইড নোটে প্রথমে স্ত্রী পুত্রকে খুন করার কথা লেখা হয়েছে। তারপরে নিজে কীভাবে বারবার মরার চেষ্টা করেছেন, তা লিখেছেন। প্রাথমিক অনুমান খুন করে আত্মহত্যা। পরিবার খুনের অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখা হবে।"
কোচবিহারের গোসানিমারির বাসিন্দা উৎপল বর্মন। পেশায় ছিলেন, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল কলেজের বাংলার শিক্ষক। কামেশ্বরী রোডে এই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী অঞ্জনা ও একমাত্র ছেলে অদ্রীশকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার ভাড়াবাড়ি থেকেই তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত পরিবারের ভাড়া বাড়ির মালিক ডলি দাস বলেন, " বাড়ির লোক এসে বলল মিসিং। আমরা জানতাম বাড়িতে গিয়েছে। কোনও অশান্তি কিছু ছিল না। সেরকম কিছু শুনিওনি। কাল ওঁদের বাড়ির লোক এসেছিল খোঁজ করে গিয়েছে। আজও আসে। তালা ভাঙতেই সামনে আসে।"
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চে ফাটল? শাসক দলে যোগ দিচ্ছেন আন্দোলনের মুখ মইদুল ইসলাম