অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পৌষ মানেই পিঠেপুলি। কিন্তু বাড়িতে সেই ঝক্কি পোহানোর সময় কোথায়? ভারসা তাই বিভিন্ন ধরনের মেলা। বৃহস্পতিবার রাজডাঙার উৎসবে রকমারি পিঠে চেখে দেখার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শীতের রাতে লেপমুড়ি দিয়ে বসে নলেনগুড়ে ডুবিয়ে গরম গরম পিঠের স্বাদ এবং মজা দুটোই আলাদা। ভোজনরসিক বাঙালি শীত পড়লেই দিন গুণতে শুরু করে পিঠেপুলি খাওয়ার। কিন্তু কাজের ব্যস্ততায় বাড়িতে সেই ঝক্কি পোহানোর সময় কোথায়? তাই রাজডাঙা ক্লাব সমন্বয়ের উদ্যোগে উৎসবের আয়োজন।


মেলার উদ্যোক্তা, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত কুমার ঘোষ। কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান হলেও, এখানে তিনি রাজডাঙা ক্লাব সমন্বয়ের সভাপতি। নারকেল বা ক্ষীরের পাটিসাপটা, চকোলেট বা ফ্রুট পাটিসাপটা, দুধপুলি, গোকুল পিঠে তো আছেই। বৃহস্পতিবার, রাজডাঙা উৎসবে সুইসরোল পিঠে, রাঙাআলুর রসমতি অথবা পুরপাতুরি খাওয়ার চাহিদাও কম ছিল না। এদিন উপস্থিত ছিলেন কসবার তৃণমূল বিধায়ক জাভেদ খান।        


এসেছিলেন তারকারাও:
করোনাকালে ২ বছর বন্ধ থাকার পর, এবার ফের হল আয়োজন। মেলায় এসেছিলেন, অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী জুন মালিয়া, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কররা। শুধু পিঠে খাওয়াই নয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। মকর সংক্রান্তির আগে বিনা পরিশ্রমে মা-ঠাকুমার হাতে তৈরি সেই পিঠেপুলির স্বাদ নস্টালজিক করে তুলেছে রাজডাঙাবাসীকে। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। 


কদিন আগে কুণালও:
সারাদিনই তাঁকে কমবেশি রাজ্যের নানা বিতর্কিত বিষয়ে উত্তর দিতে হয়। কখনও মাস্ট্রার স্ট্রোক দিয়ে কথপোকথনে বল বার করে দেন বাইশ গজের বাইরে। কখনও বা আবার বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) খোঁচা দিয়ে পুরোনো ভিডিও বের করে বলেন 'বার্নল নিয়ে বসুন ভাই।' আবার 'ডোন্ট টাচ' বিতর্কিত মুহূর্ত নিয়ে 'নানা ছুঁয়ো না ছুঁয়ো না' বলে বেশ রসিকতা নিয়েই গান গাইতে শোনা যায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। তবে সম্প্রতি এসব থেকে অনেক দূরে একবারে অন্য মেজাজে পিঠে পুলি আর ফুটবল খেলার ছবি শেয়ার করলেন তিনি সোশ্যালে। তবে জায়গাটা বেশি দূরে নয়, শুভেন্দুর গড় পূর্ব মেদিনীপুর !রামনগরের বাধিয়ায় পিঠেপুলি উৎসবে যোগ দেন তিনি।

আরও পড়ুন: ক্ষোভের মুখে 'দিদির দূত', কোথাও দলের মধ্যেই ক্ষোভের ছবি