আবির দত্ত, কলকাতা : অটো পার্টসের দোকানের আড়ালে অস্ত্রের কারবার ! বিহারে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের STF। বিহার পুলিশের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের STF-এর যৌথ অভিযানে মেলে এই সাফল্য। বিহারের মধুবনীতে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া গেছে। আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ৪ জন।


সম্প্রতি কলকাতায় অস্ত্র উদ্ধারের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। কলকাতার বাইরেও বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সূত্র পেয়ে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বিহার যায়। সেখানে মধুবনী জেলায় কোনও একটি জায়গায় অস্ত্র তৈরি হচ্ছে বলে তারা জানতে পারে। এরপর বিহার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিহার পুলিশের এসটিএফও তাদের সঙ্গে ছিল। এরপর দেখা যায়, গাড়ির অটো পার্টসের দোকানের আড়ালেই চলছিল অস্ত্রের কারবার। ইতিমধ্যে অস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এখানেই কয়েক মাস ধরে অস্ত্র তৈরি হচ্ছিল বলে মনে করা হয়। কিন্তু, এইসব অস্ত্র কোথায় পাঠানো হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। প্রথমে তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের সূত্র ধরেই আরও এক ব্যক্তির খোঁজ মেলে। তার বাড়ি থেকেও বেশ কিছু উদ্ধার হয়েছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা হচ্ছে, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত।  


জানা গেছে, সেই দোকান থেকে ২৪ টি সেভেন এমএম পিস্তলের কাঠামো, ২৪ টি সেভেন এমএম পিস্তলের ব্যারেল, ৩টি সেভেন এমএম পিস্তলের স্লাইডার, একটি করে  লেদ মেশিন, মিলিং মেশিন, গ্রাইন্ডিং মেশিন, ওয়েল্ডিং মেশিন ও ২টি ড্রিলিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর আগে একাধিক অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। বেশিরভাগে ক্ষেত্রেই বিহার যোগ মিলেছে। ধৃতদের জেরা করেই মিলেছে নতুন অস্ত্র কারখানার হদিশ।


গত ২০ ডিসেম্বর কলকাতায় অস্ত্র উদ্ধার হয়। বেনিয়াপুকুরের একটি গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার হয় ২ টি নাইন MM পিস্তল-সহ, ১৮ রাউন্ড কার্তুজ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এজেসি বোস রোডের একটি গেস্ট হাউসে হানা দেয় কলকতা পুলিশের STF ও বেনিয়াপুকুর থানা। সেই অভিযানেই আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ভিন রাজ্য়ের ২ বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত রোহিশ কুমার (৩১), মিরাজ মালিক (৪৪) বিহারের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কলকাতায় আসে ধৃত ২ জন। এরপর এই গেস্ট হাউসে ওঠে তারা। তাদের গেস্ট হাউসে ছাড়তে আসে আরেকজন। গেস্ট হাউসের সিসিটিভি ফুটেজে তার উপস্থিতিও দেখা যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মূলত এই ব্য়ক্তিরা মিডিল ম্য়ান হিসেবে কাজ করত। এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই গ্রেফতার করা হয় তাদের।