কলকাতা: জনস্বার্থ মামলার (PIL) নামে তোলাবাজির (extortion) অভিযোগে রাঁচির (ranchi) আইনজীবী (lawyer) গ্রেফতারের (arrest) ঘটনায় এবার কলকাতা পুলিশের (kolkata police) নজরে ইডি-র (ED) আধিকারিক। আগামিকাল ওড়িশায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি-র ডেপুটি ডিরেক্টর সুবোধ কুমারকে নোটিস (Notice)। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত আইনজীবী রাজীব কুমারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তাদের যোগ রয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৬ থেকে রাঁচিতে পোস্টিং ছিল ইডি-র আধিকারিক সুবোধ কুমারের। সম্প্রতি তিনি ওড়িশায় বদলি হন। কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি, ইডি-র ওই অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আইনজীবী রাজীব কুমারের। সেই কারণেই ইডি-র আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস কলকাতা পুলিশের।


প্রেক্ষাপট...
গত ১ আগস্ট কলকাতার একটি শপিং মল থেকে গ্রেফতার হন রাজীব কুমার। অভিযোগ, জনস্বার্থ মামলা করে তা তুলে নেওয়ার জন্য টাকা দিতে চাপ দিতেন তিনি।সূত্রের খবর, এমনই একটি চক্র চালাতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই আইনজীবী। নগদ ৫০ লক্ষ টাকা ছিল তার কাছে। 


বিপুল সম্পত্তি...
তোলাবাজির অভিযোগে ধৃত ঝাড়খণ্ডের ওই আইনজীবীর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায় বলে খবর। রাঁচিতে রাজীব কুমারের বাড়ি, অফিস-সহ ৩টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। সেখানেই  কালো ডায়েরি মেলে, খবর ইডি সূত্রে। টাকা লেনদেনের তথ্য রয়েছে ওই ডায়েরিতে, দাবি পুলিশের। রাজীবের রাঁচিতে তিনতলা বাড়ি ছাড়াও ১৬টা ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তা ছাড়া রাঁচি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ৭ একর জায়গা জুড়ে আছে ফার্ম হাউসও, খবর সূত্রের। পাশাপাশি নয়ডা, গ্রেটার কৈলাসেও ওই আইনজীবীর ফ্ল্যাট-অফিসের খোঁজ মিলেছে , দাবি কলকাতা পুলিশের। কিন্তু কী ভাবে এল এই বিপুল সম্পত্তি? টাকার উৎসই বা কী? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কিন্তু গোটা মামলায় ইডি আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি সামনে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে। আইনজীবীর সঙ্গে ওই ইডি অফিসারের ঠিক কী ধরনের যোগাযোগ ছিল, সম্ভবত সেটাই দেখতে চায় কলকাতা পুলিশ। 


আরও পড়ুন:নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা, উল্টে গেল দিঘাগামী পর্যটক ভর্তি বাস