রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: বিদ্যালয়ে প্রাইভেট এজেন্সিগুলোকে সরিয়ে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টদের স্থায়ীকরণের দাবি তুলে চলল বিক্ষোভ। প্রাইভেট এজেন্সি সরিয়ে সরাসরি সরকারের অধীনে ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেম ওয়ার্ক (NSQF)-এর শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ল্যাব আসিস্ট্যান্টদের সরকারীকরণ করে স্থায়ীকরণ করার দাবিতে নিউটাউনের কারিগরি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে টেকনো সিটি থানার পুলিশ।
রাজ্যের মোট ৬৭৬ টি সরকারি স্কুল ও সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ১৩ টি বিষয় নিয়ে বৃত্তি মূলক শিক্ষা অভিযানের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ল্যাব অ্যাসিসটেন্টদের এজেন্সি দ্বারা নিয়োগ করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে ১৩২৭ জন NSQF শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ১১১ জন ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বৃত্তি মূলক শিক্ষা দিয়ে আসছেন। রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রাইভেট এজেন্সিগুলির বদলে সরাসরি সরকারের অধীনে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ল্যাব অ্যাসিসটেন্টদের স্থায়ীকরণ সহ ৭ দফা দাবি নিয়ে নিউটাউন কারিগরি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় টেকনো সিটি থানার পুলিশ। তাঁদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কারিগরি ভবনে গিয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের ডেপুটেশন জমা করে।
গতকালও বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিক্ষোভের ছবি আমরা দেখেছি। বেতন বৈষম্য, বদলি-সহ একাধিক অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। কখনও নবান্নে, কখনও আবার এক্কেবারে শিক্ষামন্ত্রীর পাড়ায়। এই আন্দোলনের জেরে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, ছাড়া পাওয়ার পর আন্দোলনকারী ১৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৫০ ঊর্ধ্ব পাঁচজন শিক্ষিকাকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাশভবনের সামনে জমায়েত হন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। পুলিশ আটকালে ধস্তাধস্তি বেধে যায় দু-পক্ষের মধ্যে। এরপর আচমকাই শিশি থেকে কিছু বার খেতে শুরু করেন একের পর এক শিক্ষিকা। বিকাশভবনের সামনে 'বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন' পাঁচজন শিক্ষিকা। সেই নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।