মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান:ছোটবেলায় বইয়ে পড়া প্রবাদ-প্রবচন তা হলে একেবারে ফেলনা নয়!
'পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই ঈশ্বরের কাছাকাছি যাওয়ার উপায়',স্কুলপড়ুয়া খুদে মানেই আপ্তবাক্যটি মুখস্থ করেছে। কিন্তু বড় হতে হতে কজনের আর সে সব মনে থাকে? শনিবার দুর্গাপুর (durgapur) ইস্পাত নগরী অবশ্য টের পেল, অনেকেই এ কথা ভোলেননি। কারণ শহরের সবচেয়ে বড় সরকারি (government) হাসপাতাল (hospital)পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন (cleaning) রাখার দায়িত্ব (responsiblity) পালন করতে এগিয়ে এল ইস্পাত নগরীরই একটি ক্লাব (club)। এবার থেকে মাসে দু'বার শহরের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবে তারা। রোগীকল্যাণ সমিতির আহবানে স্বেচ্ছায় শ্রমদান কর্মসূচির আওতায় এমন উদ্যোগে যোগ দিয়ে অত্যন্ত গর্বিত ক্লাব সদস্যরা। 


কী ঘটেছে?
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের  তৃণমূল পৌরপিতা দেবব্রত সাঁই ও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডলের নেতৃত্বে শনিবার এই স্বেচ্ছায় শ্রমদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ডে ও বাইরে নোংরা পরিষ্কার করতে দেখা যায় ইস্পাত নগরীর ওই ক্লাব সদস্য়দের। উদ্যোগে সামিল হন রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এবং পৌরপিতাও। কবি দত্ত পরে জানান, হাসপাতালকে এগিয়ে নিয়ে চলার পাশাপাশি এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাও তাঁদের কর্তব্য। উন্নত পরিষেবার সঙ্গে সাফসুতরো পরিবেশ সার্বিক ভাবে হাসপাতালের ভাবমূর্তি যে উজ্জ্বল করবে, সে কথাও জানান তিনি। এই ধরনের পরিষেবা দিতে পেরে তাঁরা যে খুশি, জানিয়েছেন সুপারও। 


অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ পুরনো...
সরকারি হাসপাতাল চত্বরে অপরিছন্নতার অভিযোগ নতুন নয়। কখনও সিউড়ি হাসপাতাল, কখনও আবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর। আবর্জনার স্তূপ যেন সরতেই চাইত না। তবে গত নভেম্বরে এবিপি আনন্দের খবরের পর টনক নড়ে স্থানীয় পুরসভা। সিউড়ি হাসপাতাল চত্বরে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ শুরু করে তারা। ঘটনা হল, এভাবে হাসপাতাল চত্বরই যদি রোগের আঁতুরঘর হয়ে ওঠে তা হলে রোগী ও তাঁর পরিবার যাবেন কোথায়? এই প্রশ্নই উঠেছে বারে বারে।
সে দিক থেকে আশার আলো দেখাল দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর ক্লাব সদস্যদের উদ্যোগ।