সুনীত হালদার, হাওড়া: সকাল সকাল লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন। এর ফলে পূর্ব লেনের হাওড়া মেইন লাইনে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়। ডাউন লাইনে বেশ কিছু ক্ষণ বন্ধ রাখা হয় ট্রেন চলাচল। লিলুয়া স্টেশনের কাছে একটি লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ওই ট্রেনটিকে লাইনে তোলার কাজ শুরু হয় দুর্ঘটনার পর পরই।  (Liluah Train Derailment) এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। 


মঙ্গলবার সকালে লিলুয়া স্টেশনের কাছে এই ঘটনা ঘটে। এদিন সকাল ৭টা বেজে ১০ মিনিটে শেওড়াফুলি থেকে আসা একটি খালি ট্রেন লিলুয়া স্টেশনে ছেড়ে হাওড়ার দিকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই বিপত্তি বাধে। লিলুয়া স্টেশন থেকে বেরনোর সময় লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটির একটি কামরা। মোট চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। দুর্ভোগে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। (Local Train Derailed)


পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সকালে জানান, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়াররা। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের কামরাটিকে লাইনে তুলে বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। কী করে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৌশিক।


আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে কাটতে চলেছে রেমাল-দুর্ভোগ, বেলা গড়ানোর সঙ্গে কমতে পারে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট


এদিন পিছনের দিক থেকে ট্রেনটির চার নম্বর কামরাটি লাইনচ্যুত হয়। রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটিতে কোনও যাত্রী ছিল। আচমকা লাইনচ্যুত হওয়ার পরও বেশ কিছু দূর ঘষটাতে ঘষটাতে এগিয়ে যায় ট্রেনটি। কোনও রকমে এর পর ট্রেনটিকে থামানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেলকর্মীরা। সেখানে পৌঁছয় অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন। এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাইচ্যুত কামরাটিকে লাইনে তোলার চেষ্টা করছেন। 


হাওড়া অভিমুখে ডাউন লাইনে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। ডাউন লাইন থেকে রিভার্স লাইনে যাওয়ার সময়ই চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয় বলে খবর। যে কারণে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয় সাময়িক। লোকাল এবং দূরপাল্লার একাধিক ট্রেনকে পাশের লাইন দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিষেবা স্বাভাবিক হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছিল। নসেই মত কিছু সময় পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। ডাউন এবং রিভার্স লাইনেই ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তবে আপ এবং ডাউন রুটের বাকি লাইনে পরিষেবা অব্যাহত ছিল সকালে ৮টা বেজে ১০ মিনিটের পর থেকে।  এদিন ট্রেনের গতিবেগ যেহেতু কম ছিল এবং ট্রেনটি খালি থাকাতেই বড় ধরনের অঘটন এড়ানো গিয়েছে বলে মত রেল আধিকারিকদের।