কলকাতা : লোকসভা ভোটের প্রচারে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, সেই জায়গার নামের বানানটাই যদি ভুল লেখা হয় । তাও আবার খোদ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্বাচনী কেন্দ্রে।  নাম বালুরঘাট। বিজেপির পোস্টে সেই নাম হয়ে গেল বালুঘাট! আর সেই বানান বিভ্রাট নিয়ে একেবারে হইহই চইচই কাণ্ড। এমনিতেই বিজেপি হাইকমান্ডের কেউ বাংলায় এলেই তাঁদের বহিরাগত বলে আক্রমণ শানায় তৃণমূল। আর এ তো স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর প্রচার নিয়ে সোশ্যাল পোস্টে বানান-বিভ্রাট ! নজরে আসতেই কটাক্ষ করে তৃণমূল। 


বিজেপির এই ছবি পোস্ট করে, তৃণমূলের তরফে লেখা হয়, যারা আমাদের ভাষা এবং ভূমির সম্মান করতে পারে না, তারা বাংলার মনের কথা বুঝবেই বা কী করে? সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের পোস্ট, 'বিজেপি বাংলা থেকে একটি আসনও জেতার আশা হারিয়ে ফেলেছে, কিন্তু, বাংলার নির্বাচন কেন্দ্রগুলোর নামগুলো শেখার ন্যূনতম ইচ্ছেটুকুও তাদের নেই। তৃণমূলের তরফে আরও লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি এটা বালুরঘাট। বেলুরঘাট বা বালুঘাট নয়। দেখে মনে হচ্ছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কাউকে ঠিকভাবে বলতে ভুলে গিয়েছেন।'  






১০ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুরের এই বালুরঘাটেই সভা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেও অমিত শাহের ভুল ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'বুনিয়াদপুরকে বলেছে বেলুড়ঘাট। নামটাও জানে না। বালুরঘাট বল নয়, বুনিয়াদপুর আলাদা।'  


এই নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও আক্রমণ শানান। বলেন, আপনি দেখুন চার দিন আগে বালুরঘাটে গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুরে। বালুরঘাটকে গিয়ে বলেছে বেলুড়ঘাট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইতিহাস জানে না, মা সারদার ইতিহাস জানে না, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি ভাঙে, এই বিজেপির কর্মী-নেতারা। ' 


তবে, বিতর্ক শুরু হতেই ভুল সংশোধন করে নেয় বিজেপি। তখন ফের তৃণমূলের তরফে লেখা হয়, 'আরও একটা বেলুরঘাট পর্ব এড়াতে আপনার হেডমাস্টারকে জানাতে ভুলবেন না। '