কলকাতা : পয়গম্বর বিতর্কে  কিছুদিন আগেই উত্তাল হয়েছিল দেশ।  এরই মধ্যে দেবী কালীকে নিয়ে সাংসদ মহুয়া মৈত্রর মন্তব্যে ঘিরে বিতর্ক ছড়াল। যদিও এর দায় নিল না তৃণমূল।  দলের তরফে ট্যুইট বার্তায় বলা হল, একটি মিডিয়া গোষ্ঠীর কনক্লেভে করা মহুয়া মৈত্রর মন্তব্য, সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত এবং দল কোনওভাবে ওই মন্তব্য সমর্থন করে না। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এ ধরনের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করছে। ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছে শাসকদল। 


 






কালীর ছবি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত
কানাডার একটি তথ্যচিত্রের পোস্টারে কালীর ছবি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। একটি মিডিয়া গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে মহুয়া বলেন, 'আমার কাছে মা কালী মাংস ও অ্যালকোহল গ্রহণকারী' । তারপরই বিতর্ক ছড়ায় । সেই সময়ই দল থেকে ট্যুইট করে বলে দেওয়া হয় তারা মহুয়ার বক্তব্য মানছেন না। তারপর মহুয়া মৈত্রও একটি ট্যুইট করেন। তিনি লেখেন, ,' সঙ্ঘীদের বলছি, মিথ্যা বলে খাঁটি হিন্দু হওয়া যায় না। আমি কোনও সিনেমা বা পোস্টারকে সমর্থন করিনি। ধূমপান শব্দটিরও উল্লেখ করিনি। আপনাদের বলছি, তারাপীঠে গিয়ে দেখে আসুন, মা কালীকে ভোগ হিসেবে কী খাবার ও পানীয় দেওয়া হয়। জয় মা তারা।'






মহুয়াকে গ্রেফতারের দাবি
তবে মহুয়া মৈত্রর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে আক্রমণ করার সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইট, মা কালীকে সনাতন ধর্মে অ্যালকোহল এবং মাংস ভক্ষণকারী দেবীরূপে উপাসনা করা হয় না। মা কালী হিন্দুদের কাছে যুগ যুগ ধরে অশুভ শক্তির বিনাশকারী শক্তির প্রতীক রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। মহুয়া মৈত্রর মা কালী সম্পর্কে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। এই প্রসঙ্গে নাম না করে নূপুর শর্মার প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার ট্যুইট, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, মা কালীকে অপমান করার জন্য মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশকে কখন লুক আউট নোটিস জারি করতে বলবেন? কেন আপনি ও আপনার দলের নেতারা শুধুমাত্র হিন্দু দেবদেবী সম্পর্কেই কুরুচিকর মন্তব্য করেন?






হিন্দুধর্মের অপমান, দাবি বিজেপির
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষের ট্যুইট, ঋষি অরবিন্দ বলেছিলেন শিল্পীর দেশাত্মবোধ ফুটে ওঠে তাঁর শিল্পচর্চায়। কিন্তু এখানে শিল্পের নামে হিন্দুধর্মের অপমান করা হয় এবং তা ধর্ম নিরপেক্ষতার মোড়কে তা প্রচার করা হয়। সিনেমার পোস্টারে মা কালীর হাতে সিগারেট ধরিয়ে দেওয়ার যে স্পর্ধা এঁরা দেখিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা করি আমি।এ ধরনের আজেবাজে কথা বন্ধ হওয়া উচিত। না হলে হিন্দুরা চুপ থাকবে না।