করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদায় (Malda) দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগে মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি ও মালদার পুলিশ (Malda police)  সুপারকে শোকজ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। (Human Rights Commission)


দুই নির্যাতিতাকে কেন ৩ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে না, কমিশন তা জানতে চেয়েছে। বামনগোলা থানার আইসি-সহ ক্লোজ হওয়া ৪ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মালদার পুলিশ সুপারকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ।


গত ১৮ জুলাই, মালদায় দুই মহিলাকে ভরা বাজারে চোর সন্দেহে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ৮ জনকে গ্রেফতার করে বামনগোলা থানার পুলিশ। য


ঠিক কী ঘটেছিল? 


মালদার বামনগোলাকাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যেই চাঁচলে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। পরিবার সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নাবালিকা। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি।  পরে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে আমবাগানের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় নাবালিকাকে পাওয়া যায়, এমনটাই দাবি পরিবারের সদস্যদের। তাঁরা নাবালিকার প্রেমিকের বন্ধুর বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


আরও পড়ুন, ভাঙড়ের দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করল তৃণমূল


এর আগে মালদাকাণ্ডে ৪ পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজ করা হয়েছিল। ৯ দিনের মাথায় অবশেষে পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রশাসন। বামনগোলা থানার IC, ২ SI ও এক ASI-কে ক্লোজ করেন পুলিশ সুপার। গত ১৮ জুলাই বামনগোলায় চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে জুতোপেটা করার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে নালাগোলা ফাঁড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নির্যাতিতাদেরই গ্রেফতার করে পুলিশ। বিবস্ত্র অবস্থায় হাঁটিয়ে ফাঁড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ ওঠে। ৭ দিন পর জামিন পান ২ নির্যাতিতা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।