করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদার মানিকচকে কোষী নদী ও হরিশ্চন্দ্রপুরের ডাকুরিয়ায় ফুলহার নদীতে ভাঙন (Malda River Erosion)। মানিকচকের ভূতনিতে গত ২৪ ঘণ্টায় তলিয়ে গেছে প্রায় ১০০ মিটারের বেশি নদী তীরবর্তী এলাকা। দুশ্চিন্তায় প্রহর গুণছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মালদা সদরের মহকুমা শাসক ও ব্লক সেচ দফতরের আধিকারিকরা। অন্য়দিকে, ফুলহার নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় হরিশ্চন্দ্রপুরের ভকুরিয়ার নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্য়াপক ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে (North Bengal Weather) জলস্তর বেড়েছে কোষী নদী ও ফুলহার নদীর।   


মানিকচকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেশরপুর এলাকা। গত কয়েকদিনে ভয়াবহ ভাঙনে তলিয়ে গেছে গ্রামের বহু বাড়ি সহ বিস্তীর্ণ অংশ। তবে সেই ভাঙন ছিল গঙ্গা নদীতে। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুতেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে কোষী নদী। এদিন নদী তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ছে নদী পাড়ের বিস্তীর্ণ অংশ। যা দেখে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন গঙ্গা নদীর শান্ত রয়েছে তবে ফুলহার নদীর জল, কোষী নদীতে প্রবেশ করাই এই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। পাশাপাশি শিলিগুড়ি এবং পাহাড়ি এলাকার জল মহানন্দা হয়ে ফুলহারে মিশেছে যার ফলে ব্যাপক জলস্রোত দেখা দিয়েছে। এই জলের স্রোত এতটাই তীব্র রয়েছে যে নদীর পারে থাকা জমি মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী সীতারাম মাহাতো বলেন, "যেভাবে জলের তীব্রতা রয়েছে তাতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাঁধের গা ঘেঁষে বইবে কোষী নদী। সেচ দফতরের পক্ষ থেকে বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতি থাকলে ভূতনিতে বন্যা অনিবার্য।


গতকাল কেশরপুর এলাকা পরিদর্শনে যান মালদা সদর মহকুমা জেলাশাসক পঙ্কজ তামাং। কথা বলেন স্থানীয় এলাকাবাসী এবং সেচ ও ব্লক দফতরের আধিকারিকদের সাথে। তিনি জানান, ভাঙন রোধী কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Hollong Tourist Lodge Fire: হলং বাংলোয় কীভাবে আগুন? অগ্নিকাণ্ড ঘিরে একাধিক প্রশ্ন