করুণাময় সিংহ, মালদা: টিকিট নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই বিক্ষোভ। উঠল মারাত্মক অভিযোগও। টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন খোদ তৃণমূলের কর্মীরা। এমন ঘটনা দেখা গেল খোদ মালদায়। 


লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী তালিকা কারচুপির অভিযোগ উঠল খোদ শাসক-নেতার বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় যিনি রয়েছেন, তিনি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দাবি, অনেকেরই নাম প্রার্থী তালিকায় ছিল। তাঁরা মনোনয়নও জমা দিয়েছেন। কিন্তু স্ক্রুটিনির পর দেখা যাচ্ছে, তাঁদের জায়গায় তালিকায় রয়েছে অন্য় তৃণমূল প্রার্থীর নাম।


কোথায় কোথায় এমন অভিযোগ:
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কুশিদা ১ নম্বর বুথের প্রার্থী হিসেবে তালিকায় নাম ছিল মেহেতাজ বানুর। ২ নম্বর বুথের প্রার্থী ছিলেন রেজা আলি। তাঁদের দাবি, সেই মতো মনোনয়ন জমা দেন তাঁরা। কিন্তু, স্ক্রুটিনির পর সব পাল্টে যায়, তখন দেখা যায় তালিকায় তাঁদের নাম নেই। মেহেতাজ বানু ও রেজার আলির পরিবর্তে, তৃণমূলের প্রতীক দেওয়া হয়েছে নিখাদ বানু ও প্রকাশ দাস নামে ২ তৃণমূল কর্মীকে। এরপরেই ক্ষোভের সলতেয় আগুন লাগে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। সোমবার রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন তাঁরা। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদ বদলে দিয়েছেন, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস। তাঁকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভও দেখানো হয়। 


তৃণমূল কর্মী রেজা আলির অভিযোগ, 'মানিক দাস লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদে কারচুপি করেছেন। মোটা অংকের টাকা নিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ৩ লক্ষ টাকা দিলেই তবেই মিলবে দলীয় প্রতীক।' যদিও অভিযোগ মানতে চাননি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মানিক দাস। দলের নেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন মালদা তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। তিনি বলেন, 'টাকার বিনিময় দলীয় প্রতিক বিক্রির অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী করে না। যারা অভিযোগ করছে তারা পদলোভী।'


কটাক্ষ বিরোধীদের:
মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রতন দাস বলেন, 'টাকা ছাড়া তৃণমূলে পদ প্রার্থী কিছুই হয় না। স্বচ্ছ ভাবমূর্তিদের দূরে ঠেলে দুর্নীতিগ্রস্তদের ঠাঁই দিচ্ছে তৃণমূল।' মালদা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনারায়ণ মজুমজার বলেন, 'টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক এটা পুরোপুরি ভাবে বাস্তব। টাকা ছাড়া তৃণমূল চলে না।'


আরও পড়ুন: সপরিবার বেড়াতে যাচ্ছেন? কোন কোন বিষয় অতি অবশ্যই নজরে রাখা প্রয়োজন, রইল তালিকা