করুণাময় সিংহ, চাঁচল: বছর ঘুরলেই ফের রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার বছরখানেক আগে থেকেই শুরু হল হাত শিবিরের ভাঙ্গন। মালদায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শাহজাহান আলম। খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ইসলামপুর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের হাত ধরে দলে যোগ দেন শাহজাহান। একইসঙ্গে খরবা গ্রাম পঞ্চায়তের প্রাক্তন প্রধান লতিফুর রহমান এবং খরবা গ্রাম পঞ্চায়তের কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি হাজি জাহাঙ্গির আলম সহ প্রায় শতাধিক কর্মী-সমর্থকও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।


চাঁচলের খরবায় ওই যোগদান শিবিরের মাধ্যমে ঘাসফুলের পতাকা ধরেন খরবা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান লতিফুর রহমানও। শুধু তাই নয়, খরবা অঞ্চলের কংগ্রেসের দাপুটে নেতা জাহাঙ্গির আলমও দলবল নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন এদিন। প্রায় শতাধিক মানুষ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ।


তৃণমূলে যোগদানকারী কংগ্রেসের কর্মাধ‍্যক্ষ শাহজাহান আলম জানান, ‘আমরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা ব‍ন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে আপ্লুত হয়েই ঘাসফুলে পদার্পণ করলাম।’


চাঁচলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘’আমি সবেমাত্র চাঁচলে পা রেখেছি। তবে আমাকে ভালোবাসে সবাই কাছে আসছেন। উন্নয়ন সব গ্রামেই হচ্ছে। সবাই স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে।’


যদিও চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি আনজারুল হকের অভিযোগ, ‘প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে এই দলবদল হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’


মালদায় এর আগেও কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। গত বছর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মালদার মানিকচকে শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ তিন জন সদস্য। একই পথে হাঁটেন আরএসপি, সিপিএম ও নির্দলের তিন সদস্যও। ফলে এই পঞ্চায়েতের দখল হারায় কংগ্রেস। ২০১৮-র নির্বাচনে ১৮ আসনের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস পেয়েছিল ৯ আসন।তৃণমূল পায় ৬ আসন। এছাড়া  সিপিএম, আরএসপি ও নির্দল একটি করে আসনে জিতেছিল। দলবদলের পর তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে হয় ১২। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৯ থেকে কমে দাঁড়ায় ৬।