অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: জাল নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে যোগ! ভুয়ো শিক্ষক সন্দেহে, মালদার (Malda) এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। আর গ্রেফতারির পরই বিস্ফোরক দাবি তুলেছেন অভিযুক্ত। তাঁর দাবি, ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে এক তৃণমূল নেতাই (TMC Leader) তাঁকে দিয়েছিল জাল নিয়োগপত্র।


ভুয়ো শিক্ষক সন্দেহে গ্রেফতার: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এরইমধ্যে এবার সন্ধান মিলল এক ভুয়ো শিক্ষকের। জাল নিয়োগপত্র নিয়ে প্রাথমিক স্কুলের চাকরিতে যোগ দেওয়ার অভিযোগে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ হরিশ্চন্দ্রপুরের কুমেদপুরে, বেতাহাল প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক পদে যোগ দেন, মহম্মদ মহসিন নামে এই যুবক। ৭ মাস স্কুলে শিক্ষকতাও করেন। অভিযোগ, ভেরিফিকেশনের সময় ধরা পড়ে, ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। এরপরই অভিযুক্তের বেতন বন্ধ হয়ে যায়।

২০১৮ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এই ব্যক্তি। সূত্রের খবর হাইকোর্ট স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানতে চায়। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশে ১ মাসের পাওয়া বেতন বাবদ ১৭ হাজার ২৭৬ টাকা সরকারকে ফেরত দিতে হয়। ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্ৰেফতারি পরোয়ানা জারি করে হাইকোর্ট। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক মহম্মদ মহসিনকে গ্ৰেফতার করে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। প্রশ্নের মুখে অভিযুক্তের দাবি, টাকার বিনিময়ে তাঁকে নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন তৃণমূলেরই এক নেতা।

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের স্কুল ইন্সপেক্টর তারক মণ্ডল, “প্রশাসন খতিয়ে দেখবে। আমরা দেখে নিচ্ছি। এসডিপিও চাঁচল ডেকেছিল।’’ আর এই ঘটনা ঘিরেই চড়ছে রাজনীতির পারদ। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, “খুব লজ্জার। সারা রাজ্য় জুড়ে ভুয়ো শিক্ষক দুর্নীতি চলছিলই। নিজেই বলেছেন তৃণমূলকর্মী। ১ মাসের বেতনও পান। রাজ্য় জুড়ে ভুয়ো ভুয়ো ভুয়ো, নেতা মন্ত্রীদের মেয়ে-জামাইদের চাকরি। প্রশাসন যাচাই করল না কেন? প্রশাসনও ওতোপ্রতোভাবে জড়িত।’’ তৃণমূল নেতা শুভময় বসু বলেন, “প্রশাসন তো খুব ভাল কাজ করেছে। কে কার থেকে টাকা নিয়েছ, তৃণমূল কেন বলবে? তৃণমূল তো এসব নিয়ে কিছু বলবে না। আইন আইনের পথে চলবে।’’ ঘটনায় অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


আরও পড়ুন: Malda News: আবাসে দুর্নীতির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানালেন গ্রামবাসীরা