হরিশ্চন্দ্রপুর (মালদা) : মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harischandrapur) বন্যাত্রাণ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল নেতার পর এবার আত্মসমর্পণ করলেন পঞ্চায়েত সমিতির ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই শাসকদলের দুই নেতা-নেত্রীর আত্মসমর্পণ।
হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৭ সালের বন্যাত্রাণের ৭৬ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তৃণমূল নেতা আফসার হোসেন। একই পথে হেঁটে আজ সকালে থানায় আত্মসমর্পণ করেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ রোশেনারা খাতুন। এখনও ফেরার বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান সোনামণি সাহা।
ত্রাণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) দ্বারস্থ হন বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য আব্দুল মান্নান। তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর তিন অভিযুক্তই সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান। ১১ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন তৃণমূল নেতা আফসার হোসেন।
আত্মসমর্পণকারী তৃণমূল নেতা (TMC) আফসার হোসেনের কথায়, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করুক বড় বড় রাঘব-বোয়াল সব উঠে আসবে।
এই ঘটনায় শাসক-বিরোধীর মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা আফসার হোসেন গভীর রাতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট জামিন খারিজ করে দেয়। তাই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন। বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনা মনি সাহা এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য রোশনারা খাতুনও অভিযুক্ত এই দুর্নীতিতে। তাদেরকেও আত্মসমর্পণ করতে হবে।
আদালত সূত্রে খবর, এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলকে।