কলকাতা: "সরকারি দফতরেও সিপিএম-এর (CPIM) ঘুঘুর বাসা এখনও আছে।'' কড়া ভাষায় সিপিএমকে আক্রমণ মমতার (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি বলেন, "আপনারা সিপিএম-কে মদত করতে গিয়ে বিজেপিকে গাল দিচ্ছেন। কোন সিপিএম? নরকঙ্কালের সিপিএম। ৩০ বছর ধরে বাংলাকে শেষ করেছে। সরকারি দফতরেও সিপিএম-এর ঘুঘুর বাসা এখনও আছে। কারণ, আমি কারোর চাকরি খাইনি। ১১ বছর হবে আমরা এসেছি। ৩০ বছর ধরে তাদের যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা চরিত্র বদল করেনি, রূপ বদল করেনি। তাঁরা কিন্তু সেখানেই পড়ে রয়েছে। কৃতিত্ব দিন আমাদের যে আমরা কোনওদিন তাঁদের বিরক্ত করিনি, চাকরিও খাইনি।''
সিপিএম-কে তোপ মমতার: মিলনমেলার মেকওভার শেষ হওয়ার পর আজ তা উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানেই এদিন কড়া ভাষায় বঙ্গ সিপিএম-কে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সরকারি দফতরে এখনও ঘুঘুর বাসা রয়েছে সিপিএমের। তবে তা থাকলেও কারোর চাকরি যায়নি বা কোনও দিন সংশ্লিষ্টদের বিরক্তও করা হয়নি বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরক্ত না করা বা চাকরি না যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারেরই কৃতিত্ব বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবরূপে মিলন মেলা: এদিন ওই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মিলন মেলার নাম বদলে বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণ। ২-৩ মাসের মধ্যে ইনডোর স্টডিয়াম তৈরি হবে। শঙ্খের আদলে বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে স্টেডিয়াম। আগামীদিনে আরও অনেক শিল্প আসবে বাংলায়। এখন আমাদের লক্ষ্য শিল্প আর কর্মসংস্থান। সামাজিক সুরক্ষায় বাংলায় নম্বর ওয়ান। ১০০ দিনের কাজে আমরাই প্রথম।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণকে খোলনলচে বদলে দিতে কাজ শুরু হয় ২০১৮। মোট ২২ একর জমিতে ২টি সুবিশাল প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে। দুটি প্যাভিলিয়নের মাঝে রয়েছে বিজনেস ব্লক, মিটিং হল এবং VIP ফুড কোর্ট। পিছনে ১১০০ চারচাকা গাড়ির পাশাপাশি ৮০০ টু হুইলার মতো চারতলা পার্কিং লট। পরিবেশবান্ধব গাড়ির ক্ষেত্রে চার্জিং পয়েন্টের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।