কৃষেন্দু অধিকারী, কলকাতা: সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলের মধ্যে তৈরি হয়েছিল সংঘাত আবহ। পুরভোটে প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পরই সেই ফাটল যেন আরও চওড়া হচ্ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবফ জারি রয়েছে তৃণমূলে এমন মন্তব্যও উঠে এসেছিল রাজ্য-রাজনীতিতে। সেই প্রেক্ষাপটেই শনিবার কালীঘাটে বৈঠক ডাকেন মমতা। 'এক ব্যক্তি এক পদ' বিতর্কের মাঝেই বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী সাফ জানিয়ে দেন, সবাইকে এক হয়ে চলতে হবে।
সূত্রের খবর, শনিবারের বৈঠকে, দলের যাবতীয় ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ শীর্ষনেতারা। সূত্রের খবর, রীতিমতো সই করে দলের সব ক্ষমতা পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন কালীঘাটের বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা। যার মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন।
এদিন কালীঘাটে (Kalighat) তৃণমূলের (TMC) বৈঠকে জাতীয় কর্মসূচী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। জানান হয়েছে যে, তৃণমূলের জাতীয় স্তরে সমস্ত পদের আপাতত অবলুপ্তি হচ্ছে। তবে জাতীয় কর্মসমিতিতে কারা কারা থাকবেন সেই নাম ঘোষণা হয়েছে আজ। কর্মসমিতির বাকি পদাধিকারীদের নাম পরে ঘোষণা করবেন তৃণমূল নেত্রী, এমনটাই খবর। জাতীয় কর্মসমিতির সভানেত্রী ছাড়া সব পদের অবলুপ্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সভানেত্রী থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee)।
অর্থাৎ তৃণমূলের নেতারা দলে যে পদে ছিলেন, তাঁরা কেউ আপাতত সেই পদে থাকছেন না। তৃণমূলের শীর্ষস্তরে ফাটলের জল্পনার আবহে, দায়িত্বে কি রদবদল হতে পারে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিরোধীরা অবশ্য তৃণমূলের নতুন জাতীয় কর্মসমিতি নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে। এদিন, তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি ঘোষণা করা হয় তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তালিকায় অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), বুলুচিক বরাইক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুখেন্দুশেখর রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অসীমা পাত্র, মলয় ঘটক, রাজীব ত্রিপাঠী, অনুব্রত মণ্ডল, গৌতম দেব-সহ ১৯ জনের নাম রয়েছে। মমতা নিজে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন।