চাকলা, উত্তর ২৪ পরগনা: রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ও রাম মন্দির (Ram Mandir inauguration) উদ্বোধন ঘিরে এখন সাজ সাজ রব অযোধ্যায়। ২২ জানুয়ারির ওই অনুষ্ঠানের আগেই ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। রাম মন্দির উদ্বোধনের বিষয়টি রাজনৈতিক আঙিনায় প্রচারের হাতিয়ার করেছে বিজেপি। এই আবহে চাকলায় মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মুখেও উঠে এল তীর্থস্থানের উন্নয়নের খতিয়ান। বাংলায় রাজ্য় সরকার কোন কোন তীর্থস্থান উন্নয়নে কাজ করেছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বৃহস্পতিবার দেগঙ্গায় সভার আগে চাকলায় লোকনাথ মন্দিরে পুজো দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। চাকলায় পুজো দিয়ে একতার বার্তা দিয়েছেন মমতা, তার সঙ্গেই দিয়েছেন বাংলার তীর্থস্থানগুলির উন্নয়নের খতিয়ান।


কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী:
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার চাকলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'তীর্থস্থানগুলির উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলা জুড়ে তীর্থস্থানগুলির জন্য ৪০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে।'


দক্ষিণেশ্বর- (Dakhineswar) ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কালীঘাটের (Kalighat temple) উন্নয়ন প্রকল্পও শুরু হয়েছে। সেই প্রসঙ্গও শোনা যায় মুখ্য়মন্ত্রীর মুখে, তিনি বলেন, 'দক্ষিণেশ্বরের পর কালীঘাট মন্দিরেও স্কাইওয়াক হচ্ছে।' কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela) মেলা। প্রথম থেকেই সেই মেলার পরিকাঠামো উন্নয়নের একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাঁর মন্তব্য, 'গঙ্গাসাগরে আগে থাকার জায়গাও ছিল না, এখন আমূল পরিবর্তন হয়েছে।' দিঘায় পুরীর মন্দিরের আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে মুখ্য়মন্ত্রীর বক্তব্যে।  


এদিন তিনি বলেন, 'বাংলায় ধর্মীয় পর্যটনের প্রায় ৪০০টি স্থান আছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য অনেক কাজ করেছি। বড়মার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম।' এদিন একতার বার্তাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, 'বাংলার মতো একতা কোথাও নেই, যে যার মতো ধর্ম পালন করে। বড়দিন থেকে ইদ, সব অনুষ্ঠানই আমরা পালন করি'


ঠাকুরনগরকে ঢেলে সাজানো থেকে শুরু করে মতুয়া বিকাশ পরিষদ গঠন করা হয়েছে। হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়,পি আর ঠাকুর কলেজ, আইটিআই পলিটেকনিক কলেজ হয়েছে। মধ্যমগ্রামে অনুকূলের সৎসঙ্গের জন্য ৫ একর জমি। ৩ কোটি ব্যয়ে ওঁকারনাথ তোরণ তৈরি হয়েছে ডানলপে। ইস্কনের জন্য ৭০০ একর জমি দেওয়া। সতীপীঠগুলোর উন্নয়ন। জল্পেশ মদনমোহন মন্দিরের উন্নতি- এসবই উঠে এসেছে তাঁর মন্তব্যে। তারাপীঠ, পাথরচাপরি, ফুরফরা শরিফের জন্যও একাদিক উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে বলে মনে করিয়েছেন তিনি।


পর্যটন ব্যবসা নিয়ে বরাবরই উৎসাহ দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার পর্যটন ব্যবসার উন্নতি নিয়ে একাধিক প্রকল্পও চালু করেছে রাজ্য সরকার। এদিন তিনি বলেন, 'তীর্থস্থানগুলিকে একসঙ্গে জোড়ার চেষ্টা করেছি। দেশ বিদেশের মানুষ বলছে, পশ্চিমবঙ্গ ট্যুরিজমের ডেস্টিনেশন। রিলিজিয়াস ট্যুরিজমের ৪০০ স্থান আছে।'


আরও পড়ুন: অযোধ্যা যাবেন? উত্তরে কী বললেন মমতা?