সিঙ্গুর: জিএসটি-কে সমর্থন করা ভুল হয়েছে, সিঙ্গুরে গিয়ে মানলেন মুখ্যমন্ত্রী। 'জিএসটি-র সব টাকা দিল্লি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সব থেকে বড় ভুল হয়েছে জিএসটিকে সমর্থন করা', সিঙ্গুরের সভা থেকে আক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । 
পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট, ১২ হাজার কিমি রাস্তার জন্য প্রকল্পের সূচনা


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, মঙ্গলবার সিঙ্গুরে সভা করেন মমতা। সেখানে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার জন্য সূচনা করেন 'পথশ্রী' প্রকল্পের।  আর সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই আক্ষেপ করতে শোনা যায় মমতাকে। বলেন, "জিএসটি-র সব টাকা দিল্লি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সব থেকে বড় ভুল হয়েছে জিএসটিকে সমর্থন করা। আমরা ভেবেছিলাম, এতে রাজ্যগুলি লাভবান হবে। কিন্তু এখন দেখছি ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। জব কার্ড হোল্টারদের কাজ দিচ্ছে না। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ। ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। মেধাশ্রী করতে হয়েছে আমাদের। ঐক্যশ্রীও আমাদের করতে হয়েছে।"


এ দিন 'পথশ্রী' প্রকল্পের উদ্বোধন করে মমতা বলেন, "আমাদের এখানে রাস্তা তৈরিতে ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। সেই টাকার এক পয়সাও দিল্লির নয়।" তা নিয়ে যদিও মমতাকে পাল্টা আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "৩ হাজার কোটি টাকার শিলান্যাস হচ্ছে। যা রাস্তা তাতে বাজেটে কোনও বরাদ্দ নেই। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।"


সম্প্রতি 'দিদির দূত' কর্মসূচিতে গিয়ে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে রাস্তা নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের নেতা-বিধায়ক-জনপ্রতিনিধিদের। এই প্রেক্ষাপটে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ১২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি ও সংস্কারের এই প্রকল্পে মোট খরচ হবে ৩ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। যার পুরোটাই দেবে রাজ্য সরকার।


এ দিন তা উল্লেখ করতে গিয়ে গ্রামীন রাস্তা নিয়ে বিগত বাম সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আমরা যখন ২০১১ সালে মা-মাটি-মানুষ ক্ষমতায় আসে, আমরা দেখি সারা বাংলায় মাত্র ৩০ হাজার কিমি রাস্তা আছে। আর সব রাস্তা ঢেউ খেলানো। যেন মাছ পুঁতে দিলেই, মাছের চারা পুঁতে দিলেই মাছ হয়ে যাবে। এমন রাস্তার অবস্থা। আমরা আসার পর ১ লক্ষ কিমি রাস্তা তৈরি করেছি।" সিঙ্গুরে এ দিন আট একর জমিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ এপ্রিলের মধ্যেই শেষ হবে বলে এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।