কলকাতা: 'ডিএ নিয়ে যারা মিটিং-মিছিল করছে, তাদের জন্যেই চাকরি চলে গেল।' ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়ে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "যাঁরা ডিএ নিয়ে চিৎকার করে, ৩ শতাংশ ডিএ এবছরও পেয়েছে। প্রতিদিন গিয়ে গিয়ে মিছিল করছে। আর তাঁদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল। ২ লক্ষ পরিবার বুভুক্ষু হয়ে গেল।''                         

  


চাকরি বাতিল নিয়ে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। ২০১৬-তে নিয়োগের সময় যাঁরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন, তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সেই রায় নিয়েই চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এই চাকরি হারানো নিয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


অ্যাপটিটিউড টেস্ট না হওয়া, সংরক্ষণ নীতি না মানা সহ একাধিক অভিযোগের পরে ২০১৪-র প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষায় ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। ২০১৪-র পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ তে নিয়োগ হয়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত যাঁরা প্রশিক্ষণ নেননি তাঁদের চাকরি বাঁচানোর কোনও সুযোগই দেয়নি আদালত। তবে মাঝে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হয়েছে সুযোগ। নতুন করে পরীক্ষার পর ইন্টারভিউতে তাঁরা বসতে পারবেন বলেই জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মাঝে চারমাস তাঁরা পার্শ্ব শিক্ষকের হারে বেতন পাবেন বলেও জানায় আদালত।                     


এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পরিবারগুলো বারবার আমাকে অ্যাপিল করছে, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিভিশন বেঞ্চে আমরা যাব। যেটার ওপর ভিত্তি করে রায়টা সেটার বিরুদ্ধে আমাদের আইনজীবীরা বলবেন। তবে কেউ একটা দাবি করেছিল, ওঁরা ট্রেনিং নেয়নি কিন্তু  তেমনটা নয়। ট্রেনিং ওঁরা নিয়েছে। ওঁদের একটা অর্ডার ছিল। চাকরিতে ঢোকার তিন বছরের মধ্যে এক বছরের ট্রেনিংটা নিতে হবে বলা ছিল অর্ডারে। যেটা ওঁদের সবার নেওয়া। আরও অনেক পয়েন্ট রয়েছে, তবে বিষয়টা যেহেতু আদালতে যাবে তাই এই নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। আইনজীবীরা নির্দিষ্ট জায়গায় তা বললেন।' 


আরও পড়ুন: Good Sleep: গরমের মরসুমে রাতের ঘুমে সমস্যা? সমাধানে মেনে চলতে পারেন সহজ কয়েকটি নিয়ম