কলকাতা: উৎসবের আমেজেও ছুঁয়ে গেল রাজনীতি। ছটের ছুটি নিয়ে মোদি সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। বললেন, ‘দিল্লি ছুটি দেয় না। আমাদের সরকার ইদ, ছটে ২দিন ছুটি দেয়।’ মমতা ডিভাইড অ্যান্ড রুলে বিশ্বাসী, কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার।


ছটের ছুটি নিয়ে মোদি সরকারকে খোঁচা: রবিবার কলকাতা-সহ গোটা দেশে পালিত হল ছট পুজো ৷ গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে পুণ্যার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। খতিয়ে দেখেন নিরাপত্তা। তবে উৎসবের আমেজেও ছুঁয়ে গেল রাজনীতি। ছটের ছুটি নিয়ে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ছটপুজোয় সোমবার ছুটি থাকবে। দিল্লি ছুটি দেয় না। আমাদের সরকার ইদ, ছটে ২দিন ছুটি দেয়। কালীপুজোতেও দেয়। আপনারাই আমাদের ভরসা।’’

পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের অন্তত ৭০টি আসনে হিন্দিভাষীদের আধিপত্য। ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী রাজ্যে প্রায় ৬৪ লক্ষ হিন্দিভাষী ভোটার আছেন। শেষ জনগণনা অনুযায়ী, কলকাতায় অবাঙালি ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫১ শতাংশ। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর এবং আসানসোলের মতো কেন্দ্র, যেখানে একটা বড় অংশের ভোটারই হিন্দিভাষী, সেখানে বিজেপির কাছে পরাজিত হতে হয় তৃণমূলকে। সামনে ২০২৪-এর লোকসভা ভোট, তার আগে মুখ্যমন্ত্রী ছটের ছুটি নিয়ে দিল্লিকে কটাক্ষ করায়, তার পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তো খেলা-মেলা ছাড়া কিছু নেই। মমতা ডিভাইড অ্যান্ড রুলে বিশ্বাসী’’

রবিবার দুপুরে প্রথমে তক্তাঘাটে যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়, সুব্রত বক্সী, দেবাশিস কুমাররা। তক্তাঘাটে ছটপুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পরে হেঁটে দইঘাটে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে কলকাতা পুরসভার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য প্রয়াত কাউন্সিলর ও মেয়র পারিষদ রাম পেয়ারে রামের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। ছট পুজো উপলক্ষে নদী ঘাটের নিরাপত্তা নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী এবং পুলিশকে বারবার সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।


জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে, এবারও দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর ও পূর্ব কলকাতার সুভাষ সরোবরে ছটপুজোয় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিশৃঙ্খলা রুখতে তৎপর প্রশাসন। শহরের দুই ফুসফুসকে দূষণমুক্ত রাখতে দুই সরোবরের গেটে টাঙানো হয়েছে নোটিস। বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে সরোবরের গেট। প্রতিটি গেটে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। বেলেঘাটার সুভাষ সরোবরে টিন দিয়ে ঘেরা হয়েছে খোলা জায়গা। প্রশাসন সূত্রে খবর, কলকাতার এই দুই লেকের বদলে তার আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে ছটপুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Coochbehar: উত্তরাখণ্ডে টানেলে আটকে বাংলার শ্রমিক, উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে পরিবার