উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, দীপক ঘোষ , কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : প্রথমে দাদা, তারপর দিদি। দু’জনের মুখেই শুধু নরেন্দ্র মোদি। ইদানিং কালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ( West Bengal Chief Minister ) মুখে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর ( Narendra Modi ) বিষয়ে ইতিবাচক সুর শোনা গেল । যদিও অমিত শাহের ( Amit Shah )  বিষয়ে সুর নরম হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Mamata Banerjee ) । 


সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজ শাহর
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কখনও দিল্লির স্টেডিয়ামে অমিত শাহর সঙ্গে উপস্থিত থেকেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কখনও আবার কলকাতায় এসে, সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজ সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু, পদ হারানোর পর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেছে শুধু নরেন্দ্র মোদির নাম। 


একদিনে নরেন্দ্র মোদিও হতে পারবেন না : সৌরভ
BCCI এর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়  গত ১৩ অক্টোবর কলকাতায় এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেন, ' একদিনে সচিন তেন্ডুলকর হতে পারবেন না। একদিনে অম্বানি অথবা নরেন্দ্র মোদিও হতে পারবেন না। এই সাফল্য পাওয়ার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে হবে। সময় দিতে হবে' 

অমিত শাহকে ঘুরিয়ে খোঁচা মমতার
এই মন্তব্যের পরই বিভিন্ন মহলে সৌরভের রাজনৈতিক স্ট্যান্ডপয়েন্ট নিয়ে নানা জল্পনা শোনা যায়।  চারদিনের মধ্যে সৌরভ ইস্যুতে কার্যত নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পাশাপাশি, ছেলের BCCI সচিব থাকার প্রসঙ্গ টেনে, অমিত শাহকে ঘুরিয়ে খোঁচাও দিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার উত্তরবঙ্গ সফর শুরুর আগে প্রথমববার সৌরভ ও বিসিসিআই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি বলেন , ' কেন জানি না, কী কারণে, অমিতবাবুর ছেলে রয়ে গেলেন। সে ছোট ছেলে, আমি তো আর বিজেপি নই, রোজ গালাগালি দেব। ভাল কাজ করলে সমর্থন করব, ভাল কাজ না করলে তখন ধরব।  কিন্তু, সৌরভকে বাদ দেওয়া হল কোন উদ্দেশে?  ' 


তৃণমূলনেত্রীর এই বক্তব্য ঘিরে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, মোদির কাছে আবেদন আর অমিত শাহকে ঘুরিয়ে খোঁচা, এর নেপথ্যে বিশেষ ইঙ্গিত? মোদি ‘ভাল’, শাহ ‘খারাপ’, এমন কোনও রাজনৈতিক কৌশল?


মোদি প্রসঙ্গে ইতিবাচক সুর
এ প্রসঙ্গে অনেকে মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো একটি বক্তব্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর, সিবিআই-ইডি’র ভূমিকা প্রসঙ্গে বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,  সারা ভারতবর্ষ থেকে ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যাচ্ছে । আমি বিশ্বাস করি না এটা নরেন্দ্র মোদি করেছেন। অনেকেই জানেন না, সিবিআই এখন আর প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নেই। এখন সিবিআইকে পরিচালনার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে চলে গিয়েছে। 


তখনও প্রশ্ন উঠেছিল, এটা কি তৃণমূল নেত্রীর বিশেষ কৌশল? নরেন্দ্র মোদি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে সাড়া দেবেন? সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে মঙ্গলবারই।