কলকাতা: দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচক কমিটিতে প্রধান বিচারপতিকে (CJI) না রাখার সিদ্ধান্ত। রাজ্যসভায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের নয়া বিল পেশের তীব্র বিরোধিতা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপি দেশে নৈরাজ্য চালাতে চাইছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। নির্বাচনে কারচুপি করতেই এই পদক্ষেপ বলে করলেন দাবি। (Election Commissioner Appointment)
শনিবার বিষয়টি নিয়ে ট্যুইটারে সরব হন মমতা। তিনি লেখেন, 'বিচারব্যবস্থার পরিবর্তে নৈরাজ্যের সামনে মাথানত করছে বিজেপি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে তিন সদস্যের কমিটিতে প্রধান বিচারপতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কমিটিতে ঢোকানোর তীব্র বিরোধিতা করছি'। (CEC Appointment)
মমতার কথায়, 'ওদের এই অস্বস্তি দেখে বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচনে কারচুপি করতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। বিচারব্যবস্থার প্রতি ওদের এই নির্লজ্জ অসম্মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত গোটা দেশের। বিচারব্যবস্থাকে কি খাপ পঞ্চায়েত বানাতে চাইছে ওরা? দেশের বিচারব্যবস্থার কাছে প্রার্থনা, দেশকে বাঁচান'।
চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনার্স (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশন্স অফ সার্ভিসেস অ্যান্ড টার্মস অফ অফিস) বিল ২০২৩ ঘিরেই বিতর্ক। নয়া এই বিলে প্রস্তাব রয়েছে যে, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী দ্বারা মনোনীত একজন মন্ত্রী। কমিটির বৈঠক ডাকবেন প্রধানমন্ত্রীই। সেখান থেকে নাম যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। তিনিই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে এ বছর মার্চ মাসেই গুরুত্বপূর্ণ রায় শোনায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তাঁদের সুপারিশ মেনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় নাকচ করতেই এই নয়া বিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বিলের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা।