কলকাতা : এবার রাজ্য সরকার-সেনাবাহিনী দ্বন্দ্ব ? মেয়ো রোডে তৃণমূলের আধখোলা মঞ্চেই পৌঁছে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন তিনি। একইসঙ্গে সেনারবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন। আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, "আর্মিকে যখন বিজেপির কথায় চলতে হয় তখন দেশটা কোথায় যায়, সেটা নিয়ে সন্দেহ জাগে।" কিছুক্ষণ আগে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দিয়েছে সেনাবাহিনী। বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গান্ধীমূর্তির কাছে টানা মঞ্চ রাখার অনুমতি নেই। যদিও তৃণমূলের দাবি, অনুমতি নিয়েই প্রতিবাদ মঞ্চ করা হয়েছিল। বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে গান্ধীমূর্তির কাছে প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। মঞ্চ খুলে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ মমতা।
তিনি আধখোলা মঞ্চের উপর উঠেই বলেন, "আমাদের মাইকের কানেকশন কেটে দিয়েছে। স্টেজ ভেঙে দিয়েছে। প্যান্ডেল আর্মিকে দিয়ে খুলিয়েছে। আমার আর্মির বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। তার কারণ, উই আর প্রাউড অফ আওয়ার আর্মি। কিন্তু, আর্মিকে যখন বিজেপির কথায় চলতে হয় তখন দেশটা কোথায় যায়, সেটা নিয়ে সন্দেহ জাগে। এখানে গাড়ি চলাচলের কোনও অসুবিধা নেই। কোনও রাস্তা বন্ধ নেই। আমাদের কর্মসূচি শনি ও রবিবার দুই দিন করে হয়। বিভিন্ন অর্গানাইজেশন ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনুষ্ঠান করে। তার জন্য আমাদের অনুমতিও নেওয়া ছিল। প্রয়োজনে আমাদের বলত। পুলিশ বাহিনীকে বলত। দরকার হলে পুলিশ বাহিনী আমাদের পার্টির সঙ্গে কথা বলে আমাদের প্যান্ডেল খুলে দিতে পারত। আমরাই খুলে দিতাম। আমরা অন্য জায়গায় শিফ্ট করতে পারতাম। কিন্তু, সেটা না করে মহাত্মা গান্ধী যিনি আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় নেতা, সেই মূর্তির পাদদেশে আমরা সব অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করি। কিন্তু, আমি যখন আসছিলাম, তখন প্রায় ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। আমি বললাম, আপনারা পালাচ্ছেন কেন ? আপনারা আমার বন্ধু। আমরা আপনাদের নিয়ে গর্বিত। এটা আপনাদের দোষ নয়। আপনারা বিজেপির কথায় করেছেন। দিল্লির কথায় করেছেন। দিল্লির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায় করেছেন। এটুকু বুদ্ধি আমাদের আছে। আমি সেনাকে দোষ দিচ্ছি না। আমি বিজেপি দলটাকে দোষ দিচ্ছি, তাদের মন্ত্রীদের দোষ দিচ্ছি। ওরা যদি রাজনৈতিক দলের মঞ্চ খুলে দেওয়ার জন্য সেনার এভাবে অপব্যবহার করে...।"