কলকাতা : পেট্রোলের দাম বাড়ানো হচ্ছে । ডিজেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে । রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম একলাফে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । সেই সঙ্গে ওষুষপত্রের দাম বাড়ার সম্ভাবনাও প্রবল। বিভিন্ন অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রায় সাড়ে আটশো রকমের অত্যাবশ্যক ওষুধের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
' মোদিকে নাম পে ওষুধ দে দে বাবা '
এই পরিস্থিতিতে আগেও ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নামে তৃণমূল। আবারও রবিবার তারা পথে নামল। গলায় অভিনব প্ল্যাকার্ড। ' মোদিকে নাম পে ওষুধ দে দে বাবা ' - গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে, থালায় প্রেসক্রিপশন নিয়ে রাজপথে ওষুধ ভিক্ষা যুব তৃণমূল কর্মীদের। জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় এদিন পথে নামে তৃণমূলের যুব সংগঠন। বিজেপি রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজনে পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায়, বিজেপি রাজ্য অফিসের কাছেই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে এই অভিনব কর্মসূচি পালন করে যুব তৃণমূল।
ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের সার ও রসায়নমন্ত্রকের অন্তর্গত ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি একটি মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে। তাতে বলা হয়েছে, গত আর্থিক বছরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারের সূচক ১০.৮ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সহযোগী সংস্থাগুলিকে। এদিকে, দীর্ঘদিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির দাবি তুলছিল, সামগ্রিকভাবে অন্যান্য জিনিসপত্রের মতো ওষুধ তৈরির কাঁচামালের দামও বেড়েছে। তাই যেহেতু কেন্দ্র বিভিন্ন ওষুধের দাম বেঁধে রাখায় লোকসান হচ্ছে বলে দাবি করেছিল ওষুধ সংস্থাগুলি। এই প্রেক্ষাপটেই ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির একটি মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখন জ্বর, সংক্রমণ, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, চর্মরোগ ও রক্তশূন্যতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম বাড়বে। এর মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, ফেনোবারবিটোন, ফেনিটোইন সোডিয়াম, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং মেট্রোনিডাজলের মতো ওষুধ। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।