অলোক সাঁতরা, মেদিনীপুর: ভর দুপুরে চাষের জমিতে রাঙা আলোর বন্যা। আর তার টানেই সব কাজ ফেলে ছুটে আসছেন মানুষ। বেড়ানোর জায়গার যদিও অভাব নেই। ইতিউতি বেশ কিছু পার্ক, উদ্যান গজিয়ে উঠেছে। কিন্তু ধূ ধূ করছে সব জায়গা। মানুষের ঢল শুধু সূর্যমুখী দেখতে (Sunflower Farming)। মেদিনীপুর শহরের (Medinipur News) নেপুরা গ্রামে এখন মুখ্য আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই সূর্যমুখীর ক্ষেত।


পাঁচ বিঘা জমি জুড়ে সূর্যমুখী চাষ


পেশায় কৃষক মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ। গ্রামের জনবসতির পাশেই তাঁর পাঁচ বিঘে জমি। খেয়ালবশত ওই পাঁচ জমিতেই সূর্যমুখীর বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সকলকে চমকে সেই পাঁচ বিঘা ব্যাপক ফলন হয়েছে সূর্যমুখীর। মেদিনীপুর শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে থাকা নেপুরা গ্রামের পাশের মাঠে সেই সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শতশত মানুষ।


এমনকি জমির পাশে দাঁড়িয়ে সূর্যমুখীর সঙ্গে নিজস্বী তোলার হিড়িকও দেখা গিয়েছে। কিন্তু ভিড়ের চাপে সব সময় তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাশের জমিতে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও নিজস্বী তোলার অপেক্ষা করছেন বহু মানুষ। দুপুর গড়ালেই হল, হু হু সূর্যমুখীর মাঠে জমছে ভিড়।


আরও পড়ুন: SSC: চাইলে শান্তিপ্রসাদ সিন্হাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের


যে জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন মৃত্যুঞ্জয়, সেই জমি এক সময় জলে ডুবে ছিল। সাত-পাঁচ না ভেবে তাতেই বীজ ছড়িয়ে দেন তিনি। গত একমাস ধরে মাঠ ফাঁকা পড়ে থাকার পর, পাঁচ বিঘা জমিতেই আলোর স্রোত বয়ে গিয়েছে। আর সেই সূর্যমুখীর রূপ দেখতে ভিড় করছেন নিজস্বীপ্রেমী এবং প্রকৃতি প্রেমীদের দল।


দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় করছেন মানুষ


মেদিনীপুর শহর ছাড়াও ৪০ কিলোমিটার দূরে থাকা ঝাড়গ্রাম জেলার লোকজনও এই সূর্যমুখীর মাঠে এসে ভিড় করছেন বিভিন্ন রকম ছবি তোলার জন্য। মেদিনীপুর শহর তল্লাটে নামীদামি সাজানো পার্ক ছেড়ে শহরের বাসিন্দারা সাত কিলোমিটার দূরে থাকা মাঠে থাকা সূর্যমুখীর মাঠকেই বিনোদনের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। প্রতিদিনই দুপুরের পর শয়ে শয়ে মানুষ বাইক এবং চার চাকার গাড়ি নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে এবং ছবি তুলতে। দর্শনার্থীদের চাপে হারিয়ে যাচ্ছে সূর্যমুখীর পাশে থাকা অন্যান্য সবজির জমিও,এমনকি সূর্যমুখী গাছও।