পশ্চিম মেদিনীপুর: শিক্ষা-দুর্নীতি তদন্তে (Recruitment Scam) ভাইয়ের চাকরি যাওয়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC) একহাত নিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। মন্ত্রীর দাবি, তাঁর ভাই খোকন মাহাতো পরীক্ষায় ১২ পেতে পারেন না। SSC-র ঠিক-ভুল যাচাইয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। তাঁর ভাই কম নম্বর পেলে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন বলে জানান শ্রীকান্ত মাহাতো (Srikanta Mahato)।
SSC-কেই চ্যালেঞ্জ ছোড়েন রাজ্যের মন্ত্রী
মেদিনীপুরে জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসে কার্যত SSC-কেই চ্যালেঞ্জ ছোড়েন রাজ্যের মন্ত্রী। শালবনির তিনবারের তৃণমূল বিধায়কের ভাই খোকন ঝাড়গ্রামের বৈতা শ্রী গোপাল হাইস্কুলের গ্রুপ সি কর্মী ছিলেন। SSC-র চাকরি-বাতিলের তালিকায় ২৮৩ নম্বরে নাম রয়েছে মন্ত্রীর ভাইয়ের। প্রসঙ্গত, নবম-দশম, গ্রুপ ডির পরে গ্রুপ সি তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (HC Justice Abhijit Ganguly)। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি-তে চাকরি পেয়েছিলেন ২০৩৭ জন। আর এবার গ্রুপ সি তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। মূলত ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগেই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি।
চাকরিহারাদের তালিকায় শাসক ঘনিষ্ঠদের নাম
মূলত এই চাকরিবাতিলের নির্দেশ দিতেই, গ্রুপ C-র (Group C) চাকরিহারাদের তালিকায় উঠে আসে একের পর এক শাসক ঘনিষ্ঠদের নাম। তবে শুধুই সেখানে মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই নন, এসএসসির চাকরিহারাদের তালিকায় নাম উঠেছে হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যের। এসএসসির চাকরিহারাদের তালিকায় রয়েছেন বারাসাতের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। শুধুমাত্র অযোগ্যদের নম্বর বাড়ানোই নয়, কমানো হয়েছিল যোগ্যদের নম্বরও। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছিল। এসএসসির (SSC) জমা দেওয়া হলফনামা দেখে বিস্ময়প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।
আরও পড়ুন, DA ধর্নামঞ্চে অসুস্থ আরও ১ অনশনকারী, নেওয়া হল হাসপাতালে
চলতি মাসের শুরুতে আদালতে কমিশনের আইনজীবীর দাবি করছিলেন, সেইসময় কমিশনে থাকা ব্যক্তিরা অযোগ্যদের নিয়োগ করার জন্য এমনটা করে থাকতে পারেন। একেবারে ফাঁকা OMR শিট । প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অংশে একটা কালির আঁচড় পর্যন্তও নেই। SSC-র গ্রুপ ডি মামলায় এমনই শূন্য পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর গাজিয়াবাদের মূল্যায়নকারী সংস্থার হার্ডডিস্ক থেকে জাদুবলে কমিশনের ওয়েবসাইটে হয়ে গিয়েছিল ৪০-এর বেশি। গ্রুপ সি-র নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় উঠে এসেছিল কারচুপিরই আরেক রূপ।