কলকাতা : অতি গভীর নিম্নচাপ গতকাল সকালেই পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকা-য়। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে তা এগোচ্ছে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে। এই ঝড় কি ফের ফের তছনছ করবে বঙ্গের উপকূল ?
আবহবিদরা বলছেন, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মোকা। অনুমান ঠিকঠাক হলে এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এরপর ১৪ মে দুপুরের দিকে সিটওয়ে (মিয়ানমার) এর কাছাকাছি কক্সবাজার (বাংলাদেশ) এবং কিউকপিউ (মায়ানমার) এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে । এটি একটি অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। সর্বাধিক১৫০ -১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে আছড়ে পড়বে। গতি বাড়তে পারে ১৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা অবধি।
আবহবিদদের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে তেমন কোনও প্রভাব পড়ার কথা নয়। এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণঝড়ের গতিবিধি বলছে ফণী বা আম্ফানের মতো প্রভাব মোটেও পড়বে না বঙ্গে। বড়জোর বৃষ্টি হতে পারে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার এসে পৌঁছেছে NDRF-এর ২৫ জনের একটি দল। জলোচ্ছ্বাসে, কোথাও নদী বাঁধ ভেঙে গেলে, গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করলে, সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি থাকবে এই টিম। পাশাপাশি, দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্ত রকম ভাবে তৈরি স্থানীয় প্রশাসন, জানিয়েছেন গোসাবার বিডিও।
আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপপ্রবাহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে পুরুলিয়া বীরভূম বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম জেলায়। আগামী ২৪ ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি সম্ভাবনা থাকছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। শনি ও রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ও বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা হাওড়া হুগলি নদীয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে। সোমবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব মেদিনীপুর নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায়।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে 'মোকা'। কেন এমন নাম রাখা হল, তা নিয়ে বিশদ তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, 'মোকা' শব্দটি এসেছে ইয়েমেনে ব্যবহৃত শব্দ Mokka থেকে। লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত ইয়েমেনে 'মোকা' নামের একটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। সেই অনুসারেই নাম রাখা হয়েছে। এই 'মোকা' সমুদ্রবন্দর থেকেই মোকা কফির নামকরণ হয়েছে। কারণ এ বারে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের দায়িত্বে ছিল ইয়েমন।