কলকাতা: প্রাথমিক (Primary) নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট পেশ করল ইডি (ED)। মুখবন্ধ খামে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হল আজ। বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেব, জানিয়েছেন বিচারপতি। ২০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। ১২ ডিসেম্বর শুনানিতে অভিষেক-রুজিরার সম্পত্তির প্রসঙ্গ ওঠে। আয়ের উৎস খতিয়ে দেখা হয়েছে কি না, ইডির কাছে জানতে চান বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। 'নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, এই বিপুল সম্পত্তির বেশিরভাগই ২০১৪ সালের পরে'। এই অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপুল সম্পত্তি! আর এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি, মন্তব্য করেন বিচারপতি। 


বৃহস্পতিবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুখবন্ধ খামে, হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল ED. বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে, তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে ওঠে রুজিরা ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সম্পত্তির প্রসঙ্গ। ইডি-র আইনজীবী জানান, অভিষেক, রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং ডিরেক্টররা বিপুল নথি জমা দিয়েছেন। ইডি অফিসাররা তা খতিয়ে দেখছেন। 


সেকথা শুনে বিচারপতি সিন্হা বলেন, যদি এত নথি দিয়ে থাকেন, তার মানে সেই পরিমাণ সম্পত্তিও আছে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আয়ের উৎস কী? সেটা কি দেখেছেন? আপনাদের কি মনে হয় না, যে এই নথির মধ্যে থাকা সম্পত্তি যদি এই সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করে দেওয়া হয় বা বিক্রি করে দেওয়া হয় তাহলে কি হবে? আপনারা কার কার পিছনে ছুটবেন?


বিচারপতি আরও বলেন, আপনাদের নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, এই বিপুল সম্পত্তির বেশিরভাগই ২০১৪ সালের পরে। এই অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপুল সম্পত্তি! আর এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিও হয়েছে। সেদিনই ED জানায়, এব্য়াপারে রিপোর্ট দিয়ে বিস্তারিত জানাবে তারা। সেই মতোই বৃহস্পতিবারের এই রিপোর্ট পেশ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহা জানিয়েছেন, রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। আগামী ২০ শে ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। 


উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় SSC-র যে হলফনামা পেশ করেছিল তা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। সোমবারের মধ্য়ে নতুন করে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। হুঁশিয়ারি দিয়ে হাইকোর্ট এও বলে যে, নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে কমিশনকে, নাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।