সুজিত মণ্ডল, চাকদা: নদিয়ার চাকদায় পুরভোটের (Chakdah Municipality) শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রচার ঘিরে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার তুমুল বচসা। পুলিশের বিরুদ্ধে ধাক্কা মারার অভিযোগ। রণক্ষেত্র পরিস্থিতিতে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তিনি। 


এদিন নদীয়ার চাকদা পুরসভায় নির্বাচনী জনসভায় প্রচারে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অভিযোগ বিজেপিকে পঞ্চায়েত এলাকায় সভা করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু পুর এলাকায় সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সভা স্থলের কাছেই পুলিশের ব্যারিকেড করা ছিল। সেখানে পায়ে হেঁটে যান শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এমনকী বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁকে ধাক্কা মেরেছে। 


এদিকে পুরভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক পুরসভায় তৃণমূল-বিজেপি বাগযুদ্ধের পারদ ততই যেন চড়ছে। একে অপরকে তীক্ষ্ণ নিশানা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। একই জেলার ভূমিপুত্র। এক সময়ের রাজনৈতিক সতীর্থ। গত বিধানসভা ভোটের আগে থাকতেই দু’জনের পথ গিয়েছে বেঁকে। তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপি বিধায়ক এবং বিরোধী দলনেতা। আর সৌমেন মহাপাত্র রয়েছেন তৃণমূলেই। সেচ দফতরের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। তমলুক পুরসভা নির্বাচনে দলের কাণ্ডারী তিনি। প্রার্থী তালিকা থেকে নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করা, সবেতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা গেছে তাঁকে। পুরভোটের যখন আর এক সপ্তাহও বাকি নেই, তখন প্রাক্তন সতীর্থকে ধারাল আক্রমণ শানাতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে।


শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, “এই কন্ট্রাক্টররাজ, তোলাবাজি তমলুক থেকে ঝাঁটিয়ে পরিষ্কার করুন। মঞ্চে পতাকা সরিয়ে দিবেন। আমি থাকব। ও থাকবে। ২০১১ থেকে লোকে রেখেছে। ওকী কাজ করেছে আর আমি কী কাজ করেছি, তুলনা হয়ে যাবে।’’ পাল্টা সৌমেন মহাপাত্রের কথায়, “উনি তো তখন তৃণমূলেই ছিলেন। প্রশ্নটা তখন তুললে উত্তর পেয়ে যেতেন।’’


২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে তমলুক থেকে নির্বাচিত হন সৌমেন মহাপাত্র। ২০১৬ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় তাঁকে প্রার্থী করে দল। জিতে বিধায়কও হন তিনি। ২০২১ সালে আবার তমলুক থেকে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হন। তমলুকের জন্য কে কত কাজ করেছে, এখন তা নিয়েই চলছে দুই রাজনীতিকের কাজিয়া। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে তমলুক আসনে তৃণমূল জয়ী হলেও, ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলের নিরিখে তমলুক পুরসভার ২০টি আসনের মধ্যে ১২টিতে এগিয়ে বিজেপি। ৮টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল।


আরও পড়ুন: Municipal Election 2022: মদন-সৌগতর সৌজন্য ফের বদলে গেল সংঘাতে!