সৌভিক মজুমদার ও রাজা চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা ও জলপাইগুড়ি : ভোট লড়তে চাইলেও, বাধা দিচ্ছে প্রশাসন। যা তাঁকে বিব্রত করেছে। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার (Municipality) নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ার মামলা প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ায়, আদালত আর হস্তক্ষেপ করবে না।


চার পুরসভার ভোটে চারে-চার করেছে তৃণমূল। দু’সপ্তাহের মধ্যে ১০৮টি পুরসভায় ভোট। এই প্রেক্ষাপটে জলপাইগুড়ির বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পেশ করতে না পারা নিয়ে, প্রশাসনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।


আদালতের নির্দেশের পরও, মনোনয়ন দিতে পারেননি জলপাইগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়তে চাওয়া মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। 


সেই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুর বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে একজন নাগরিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। কিন্তু, প্রশাসন ওই ব্যক্তিকে বাধা দিচ্ছে। এটা আমাকে বিব্রত করেছে।


মামলাকারীর আইনজীবী অভিযোগ করেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও, তিনবারের চেষ্টাতেও মনোনয়ন পেশ করতে পারেননি মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়। জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, নির্ধারিত সময়ের পর গিয়ে পৌঁছন নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পেশ করতে চাওয়া ওই ব্যক্তি। সরকারের আইনজীবী আরও বলেন, হলফনামায় সব জানানো হবে।


সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বলেন, ইতিমধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাই আদালত আর হস্তক্ষেপ করবে না।


এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ মতো হাজিরা দিয়েছিলেন রিটার্নিং অফিসার। যদিও আদালতের এই অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়।


প্রসঙ্গত, বাকি পুরসভাগুলির জন্য তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়। টিকিট না পেয়ে অনেকেই কার্যত 'বিদ্রোহ' ঘোষণা করেন। কেউ কেউ দলও ত্যাগ করেন। অনেকে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে বাকি পুরসভাগুলির ভোট।