রাজীব চৌধুরী, সালার: মুর্শিদাবাদের সালারের বহরগ্রাম থেকে উদ্ধার ৬টি তাজা বোমা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।


পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ির কাছে ঝোপের মধ্যে থেকে বোমাভর্তি ব্যাগ উদ্ধার হয়। ব্যাগে ছিল ৬টি বোমা। পরে বম্ব স্কোয়াড গিয়ে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে। কারা, কী উদ্দেশ্যে বোমাগুলি ওখানে রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।


গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনারুল ইসলামের বাড়ি থেকে কিছুটা দুরেই হয়েছে বোমা উদ্ধার। আনারুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর ইতিমধ্যেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সালার থানা। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই কি মজুত রাখা বোমার হদিশ মিলল? তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।


গত ৩০ শে অক্টোবর পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী হাবিবুর রহমান ওরফে টগরকে বাবলা গ্রামে  ধারালো অস্ত্রের কোপ ও বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ ওঠে আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। 


কিছুদিন আগেই বহরমপুরের টিকটিকিপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণ হয়। বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় তিন বালক। কয়েকজন বালক মাঠে খেলা করছিল। তারা বল ভেবে তুলে নেয় একটি গোলাকার বস্তু। সেটি নাড়াচাড়া করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম তিনজনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে পাড়ার কয়েক জন বালক একটি মাঠে খেলছিল। সেই সময় মাঠের পাশে খড়ের গাদায় ২-৩টি গোলাকার বস্তু পড়ে থাকতে দেখে তারা। সেগুলিই বল ভেবে হাতে নিয়ে নাড়াচাড়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। 


এই ঘটনায় শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করে বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলে বোমা মজুত করা হয়। তাতেই বিপত্তি ঘটে।’


বিজেপি-র মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারব সরকার দাবি করেন, ‘তৃণমূলই বোমা মজুত করছে। তা থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে।’


ভিত্তিহীন অভিযোগ, পাল্টা দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’


কীভাবে ওই এলাকায় বোমাগুলি এল? তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।