মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে (Murshidabad Medical College) ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০ শিশুর মৃত্যু। 'মৃত ১০ শিশুর মধ্যে ৭ শিশুকেই রেফার করা হয়েছিল। গোল্ডেন আওয়ার পেরিয়ে যাওয়ায় বাঁচানো যায়নি শিশুদের'। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর দাবি, জন্মের সময় ওজন অত্যধিক কম হওয়ার কারণেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রসূতিদের অপুষ্টিজনিত কারণকেও শিশুমৃত্যুর জন্য দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। 


রেফার রুখতে নির্দেশিকা: রাজ্যে রেফার রোগের ঘটনা যেন কমছেই না, গত মাসেই সরকারি হাসপাতাল (Government Hospital) থেকে রেফার নিয়ে এদিন নির্দেশিকা দেয় স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। স্বাস্থ্য দফতর স্পষ্ট জানায়, 'স্বাস্থ্য সাথীর অজুহাত দেখিয়ে কোথাও রেফার করা যাবে না। পরিকাঠামোর অভাবের কারণ দেখিয়েও রেফার করা যাবে না। সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রেফার নয়' কড়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের। পাশাপাশি নিয়ম অমান্যে সংশ্লিস্ট সরকারি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।


হয়রানির শিকার রোগী: তাতেও লাভ হয়নি, নভেম্বরের শেষেও একই ঘটনায় হয়রান হয়েছেন রোগী ও পরিবার।  সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক ইস্যুতে সরকারি হাসপাতালের নাম জড়িয়েছে। কখনও দালালচক্র। আর এবার ভুল চিকিৎসায় নাম জড়িয়েছে সরকারি হাসপাতালের। তবে একটু পিছনে ফিরে তাঁকালে দেখা যায়, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের একাধিক অভিযোগ এসেছে আগেও। তবে রেফার ইস্যুতে বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতিতে বারবার নাম জড়িয়েছে রাজ্যের হাসপাতালগুলির। তবে এবার আর বরদাস্ত করা হবে না, স্পষ্ট করল স্বাস্থ্য দফতর।


ফের রেফার-রোগ ( Hospital Refer ) । চার-চারটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠল রোগী ফেরানোর অভিযোগ। গত ২০ নভেম্বর রাতে অসহায় অবস্থায় সরকারি হাসপাতালের ( West Bengal Government Hospital ) দোরে দোরে ফিরল রোগীর পরিবার। অভিযোগ, কোথাও সরাসরি বলে দেওয়া হয় রেফার ছাড়া ভর্তি নেওয়া হবে না, কোথাও আবার বলা হয় সোমবার আউটডোরে আসুন। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয় বলে দাবি ব্যারাকপুরের রোগীর পরিবারের। 'রেফার' - এই একটা শব্দের ধাক্কায় বারবার শেষ হয়ে যায় প্রাণ। রেফার রোগের ভয়াবহতা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা। 


রোগী মৃত্যুতে জরিমানা: শহরের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর একের পর অভিযোগে প্রশ্ন উঠছে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়েও। চলতি মাসের শুরুতেই একাধিক হাসপাতালকে রোগী মৃত্যুর দায়ে জরিমানা চাপিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করল স্বাস্থ্য কমিশন তালিকায় ছিল একাধিক নাম। মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেকে (Institute of Neurosciences, Kolkata) ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য় কমিশন। পাশাপাশি চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে খড়দার সঞ্জীবনী হাসপাতালকেও (Khardah, Sanjeevani Multispecialty Hospital) ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খড়দার হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশও দেয়  স্বাস্থ্য় কমিশন।