রাজীব চৌধুরী, ঝিলম করঞ্জাই, মুর্শিদাবাদ :  কোভিড কালে গান বেঁধে মন জিতেছিলেন নেট দুনিয়ায়, সোমবার মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই থেমে যায় সেই ডাক্তারের জীবনযুদ্ধ। এবার মুর্শিদাবাদে সেই চিকিৎসকের মৃত্য়ুতে দানা বাঁধল রহস্য়। সত্য়ি কি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয়েছিল অনির্বাণ দত্তের? কেন ময়নাতদন্ত না করেই শেষকৃত্য় করা হল সেই প্রশ্ন তুলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাল চিকিৎসক সংগঠন। এমনকী মৃত্য়ুতে রহস্য়ের রয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন অনির্বাণের বন্ধু। 


তাঁর মৃত্য়ু কি ছিল নিছকই স্বাভাবিক, নাকি এই ঘটনায় রয়েছে কোনও রহস্য়? তা জানতেই এবার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাল, অ্য়াসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর। মৃত্য়ুর পর কেন ময়নাতদন্ত করা হল না সেই প্রশ্ন তুলে, উচ্চ পর্যায় তদন্তের দাবি জানাল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামও। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক অনির্বাণ দত্ত ছিলেন সাগরদিঘির বাসিন্দা। তবে ঘটনার দিন তিনি ছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে।

অনির্বাণের শ্বশুরের দাবি, গত মঙ্গলবার, তাঁদের বাড়িতেই অচৈতন্য় অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায় অনির্বাণকে। এরপর নিকটবর্তী নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ' হাসপাতালে নিয়ে গেলে বলে যে ও আগেই মারা গিয়েছে। আমাকে মেয়ে ফোন করে ' । পরে হোমিপ্য়াথিও চিকিৎসকের ডেথ সার্টিফিকেটে দেখা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে তাঁর।

মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াঘাট শেষকৃত্য় করা হয় অনির্বাণের। তবে বিতর্ক দানা বাঁধে এরপর। চাঞ্চল্য়কর দাবি তোলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী শর্মি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, মৃত্য়ুর পর তাঁর একমাত্র ছেলেকে কোন রকম শেষকৃত্যের সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেই নিয়ে বুধবার রাতে, বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, কেন ময়নাতদন্ত না করে তড়িঘড়ি শেষকৃত্য় করা হল, সেই প্রশ্ন তুলে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানায় চিকিৎসক সংগঠন অ্য়াসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর। উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের দাবিতে সরব হয়ে, রাজ্য়ের স্বাস্থ্য দফতরের সচিবের কাছে চিঠি লেখেন আরেক চিকিৎসক সংগঠন, ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামও।


এমনকী অনির্বাণের মৃত্য়ুতে যে রহস্য় থাকতে পারে সেই কথা বলে বিতর্ক উস্কে দেন তাঁর বন্ধু। মৃত চিকিৎসকের বন্ধু শেখর দত্ত বলেন, ' আমার এই মত্য়ু স্বাভাবিক বলে মনে হয় না। এত তাড়াতাড়ি কেন শেষকৃত্য় করা হল। আমার সন্দেহ রয়েছে '

রোগী দেখা তাঁর পেশা হলেও নেশা ছিল গিটার হাতে গান গাওয়া। সেই প্রাণোচ্ছল চিকিৎসকের মৃত্য়ুতে শোকস্তব্ধ হয়েছে চিকিৎসক মহল। তবে প্রশ্ন হল, সত্য়ি কি স্রেফ হৃদরোগেই প্রাণ হারালেন তিনি না তার মৃত্য়র পিছনে রয়েছে অন্য় কোনও কারণ। 


আরও পড়ুন : 


আজই লক্ষ্মীদেবীর আশীর্বাদে নতুন চাকরির যোগ এই রাশির, টেনশনও হবে দূর, কেমন কাটবে আপনার দিন?