রাজীব চৌধুরী,মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) নিয়ে এবার দলের সাংগঠনিক সভাতেও গরহাজির মুর্শিদাবাদের দুই বিজেপি বিধায়ক (Murshidabad BJP)। রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও গতকালের বৈঠকে ছিলেন না বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র ও মুর্শিদাবাদের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। 'সভার বিষয়ে ঠিকমতো জানানো হয়নি', বলে দাবি বহরমপুরের বিজেপি বিধায়কের।


বিধানসভা এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি বলে দাবি করেছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সাফাই, স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক থাকায় বিধায়করা আসতে পারেননি। মুর্শিদাবাদে পায়ের তলায় জমি হারাচ্ছে বিজেপি, কটাক্ষ তৃণমূলের (TMC)। প্রসঙ্গত, সম্ভবত আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে, ইঙ্গিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission)। রাজ্য পুলিশ দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট, এমনই ইঙ্গিত কমিশন-প্রশাসন সূত্রে। সেই মতো বুধবার  ২০টি জেলার আসন বিন্যাস-আসন সংরক্ষণ নিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। জানুয়ারিতে প্রকাশিত হতে পারে নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি। ভোটগ্রহণ সম্ভবত মার্চ-এপ্রিল মাসে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, নভেম্বরের শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ। এখনও পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর পরিকল্পনা রয়েছে।পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে ফেব্রুয়ারির আগে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে কমিশন সূত্রে খবর। ডিসেম্বর মাসে প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতি, সহ সভাপতি, সভাধিপতি পদ সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে। 


আরও পড়ুন, প্রেমিকার পাশে ওড়নার ফাঁস লাগানো যুবকের দেহ উদ্ধার, সল্টলেকের গেস্টহাউসে রহস্যমৃত্যু


বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি  দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এই সরকার পৌরসভাগুলিকে দেড়-দু'বছর ঝুলিয়ে রেখে সুবিধা মতো ভোট করাল। তেমন ভাবেই ভোট করানোর চেষ্টা চলছে। আমার ধারণা, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে মার্চে। তার আগে ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে। তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারণ পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে সিবিআই, ইডি আরও সক্রিয় হলে।' কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় কোনও ভোট হওয়া উচিত নয় বলে এ যাবৎ দাবি করে আসছে বিজেপি। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্য পুলিশের উপরই আস্থা রাখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ বলেন, "কমিশন তো রাজ্য সরকার যা বলবে, তাই করবে। এর বাইরে অস্তিত্ব নেই ওদের।  মীরা পান্ডে লড়াই করেছিলেন। তাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট হয়েছিল। কলকাতায় পৌরসভার ভোট জোর করে লুঠে নেওয়া হয়েছে। একতরফা ভোট করার চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া জিততে পারবে না তৃণমূল।'