রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: জলঙ্গিতে (Jalangi) ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত (Border Area) এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৮ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, প্রতি বছর জলঙ্গির ফরাজিপাড়া এলাকায় চলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেরই মানুষ।
গত বছর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ভারতে প্রবেশ করে ৮ বাংলাদেশি যুবক। এরপর তারা কেরলে কাজে যোগদেন। সেখানে কাজ করে ফেরার পর বৃহস্পতিবার তারা ফের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যায় এবং বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাঁদের আটক করে বিএসএফ। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবার ধৃত ৮ জন অনুপ্রবেশকারীকে বহরমপুরে জেলা আদালতে পাঠায় পুলিশ। কী কারণে তারা এত দিন ধরে এদেশে ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গতবছর জুন মাসে হাওড়া (Howrah) শহরের বুক থেকে একের পর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার হয়। ডোমজুড় থানার পুলিশ মৌখালী শেখপাড়া থেকে রিপন হাওলাদার ওরফে রঞ্জিত মন্ডল নামে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা শুরু করে পুলিশ। ডোমজুড়ের বাঁকড়া নয়াবাজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সুমন এবং মহম্মদ মুনিরকে। গতকাল ধৃতদের হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন, দুর্নীতিকাণ্ডে পরপর নেতা গ্রেফতার, কন্ট্রোল কমিশন চান মদন !
ওই দু'জন বাংলাদেশির কাছ থেকে পুলিশ জাল আধার কার্ড, ভোটার আই কার্ড এবং পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে। জানা গেছে জাল পাসপোর্টের তদন্তে নেমে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা ওই দুজনের সন্ধান পান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রিপন হাওলাদারের সন্ধান পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর সে দু'বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। এরপর পাকাপাকিভাবে মৌখালী এলাকায় বসবাস শুরু করেন। রিপন মাসখানেক আগে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে আরও দুই ধৃত বাংলাদেশীকে এদেশে মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়ে আসেন। তাদের নকল পরিচয় পত্র তৈরি করে দেন। গত বছর মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ডোমজুড়ের বাকড়া এলাকা থেকে আনিরুউদ্দিন আনসারি নামে এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। লিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই জঙ্গির সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়।